নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট | 178 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
বাংলাদেশি অর্থ পাচারকারিদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচারকারিা কৌশল পরিবর্তন করছেন গত জানুয়ারি থেকেই। বাংলাদেশের রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগাম ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা দেবার পর থেকেই অর্থ স্থানান্তরের রুট পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। গত ৩ মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশিদের অর্থ সিঙ্গাপর ও মালয়েশিয়ার পথে চলেছে। বেশ কিছু অর্থ দেশে ফেরারও নজির ছিল হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ফলে। বাংলাদেশের ব্যবসায়িক, আমলা ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের মাথায় হাত পড়ে (অর্থ পাচারকারি) সম্প্রতি ঢাকা সফরকারি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বৈশ্বিক দূনীতি বিরোধী সমন্বয়কারি রিচার্ড নেফিউ এর সফরে। ঢাকায় অবস্থানকালে নেফিউ ৫০ এর অধিক ব্যক্তিবর্গেও সাথে আলোচনা করেছেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে আলোচনায় নেফিউ সরাসরি পুলিশ, আমলা ও ব্যবসায়ীদের দূর্নীতির কথা উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতে অর্থায়নের র্দুবৃত্তের ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ব্যাখা করেন। পররাষ্ট্র সচিব অত্যন্ত কৌশলে সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র্র স্যাংশনকে দুর্নীতি দমনের টুলস হিসাবে ব্যবহার করে। দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসার ওপরে স্যাংশন আসতে পারে। এতে যুক্তরাষ্ট্র কাছে টানতে পারে কানাডা ও যুক্তরাজ্যকে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তদের নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে তখন সিঙ্গাপুরের সরকার দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের অভিযান চালিয়েছে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে। আর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা বিভিন্ন দেশের নাগরিক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাচার করে যারা সিঙ্গাপুরে এনেছে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয়। ব্যাপক এই অভিযানে এক বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলারের সমপরিমাণ সম্পদ ও নগদ মুদ্রা জব্দ করেছে। সিঙ্গাপুর পুলিশ ফোর্স -এর ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, এই অভিযানে নারীসহ ১০ জন বিদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।এদের মধ্যে সাইপ্রাস, তুরস্ক, চীন, কম্বোডিয়া, ভানুয়াতুর নাগরিক রয়েছেন। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের কেউ সিঙ্গাপুরের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা নন। এছাড়াও আরও ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং ৮ জন পলাতক রয়েছেন। এসব ব্যক্তি পরষ্পরের সাথে সম্পর্কিত বলে পুলিশ বলছে। বাংলাদেশি অর্থ পাচারকারিদের সম্পদ সিঙ্গাপুরে রয়েছে এমন খবর ঢাকায় চাউর হয়ে আছে। কিন্তু সিঙ্গাপুর সরকারের এ অভিযানে বাংলাদেশী করাও নাম আসেনি। তবে আতংক বিরাজ করছে। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের হাব হিসেবে খ্যাত মোস্তফা মার্কেট এলাকায় বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার ছিল সবার মুখে মুখে। অনেকে বলাবলি করেছেন, বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী গা ঢাকা দিয়েছেন। কানাডার বেগম পাড়ায় সিঙ্গাপুরের ঘটনা টক অব দ্যা কমিউনিটিতে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশি অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তদের বড় অংশটি এখন বাংলাদেশেই অবস্থান করছেন। তাদে পাচারকৃত অর্থ রয়েছে বিদেশে। এই সব অর্থ নিয়েও এখন তারা বিপদে। কিভাবে এসব সম্পদ রক্ষা করা যায় তার পথ খুঁজছেন তারা।
Posted ১:৩০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam