কাগজ রিপোর্ট | শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 352 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
করোনাকালীন আর্থিক সহায়তা নেয়া প্রতারক ব্যবসায়ীদের পাকড়াও করতে তৎপর ফেডারেল ও স্টেট আইনশৃংখলা বাহিনী। আইআরএস এর দেয়া তালিকা নিয়ে তারা এখন মাঠে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী অনেকের অফিসে হানা দিয়েছেন তারা। কোন কোন অফিস থেকে ফাইলও তারা জব্দ করেছেন। ২০২০ সালে করোনা শুরু হবার পর ব্যবসায়ীরা এসবিএ লোন (স্মল বিজনেস লোন) ও পেচেক প্রোটেকশন প্রোগ্রাম (পিপিপি) এর আওতায় সরকারের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ পেয়েছেন। এরমধ্যে এসবিএ লোন স্বল্প সুদে ঋনের আওতায়। তা নির্দিষ্ট সময়ান্তে ফেরত দিতে হবে। কিন্তু জটিলতা তৈরি হয়েছে পিপিপি লোন নিয়ে। এ লোন অফেরতযোগ্য বলে বিবেচচিত হবে কোয়ালিফাইং এর বিবেচনায়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৫ জনের বেশি কর্মচারি থাকলে প্রতিজনের বিপরীতে নুন্যতম পাওয়া গেছে ২৬ হাজার ডলার। অসৎ ব্য্সায়ীরা ভূয়া কর্মচারি দেখিয়ে লাখ লাখ ডলার সরকারের কাছ থেকে নিয়েছে। বাংলাদেশি এমন অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন তারা প্রতিষ্ঠানে ৪০০/৫০০ কর্মচারি দেখিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পকেটে ভরেছেন। বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এ ধরনের কাঁচা অর্থের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। অনেকেই সরকারের এ অর্থ কর্মচারি নিয়োগ বা ব্যবসা সংক্রান্ত খরচ না করে বিলাসী জীবনযাপনে খরচ করছ্নে। গাড়ি বাড়ি কিনেছেন। এ সব বিষয়গুলোই আইআরএস খতিয়ে দেখছে। ইনডিপেন্ডেন্ট ব্যবসা দেখিয়ে অনেক ইয়োলো ক্যাব ও উবার ড্রাইভাররাও হাতিয়ে নিয়েছেন অর্থ। তা ১ লাখ ডলার থেকে কোয়ার্টার মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পর্যন্ত। গৃহীত অর্থের তথ্যাদি চেয়ে আইআরএস চিঠি পাঠিয়েছেন অনেককে। তারা এখন ছুটছেন একাউটেন্টের কাছে পরামর্শের জন্য।
এমনি একটি ঘটনা ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস প্রকাশ করেছেন গত মঙ্গলবার। ব্রুকলিন নিবাসী ২৮ বছর বয়সী যুবতী তাতিয়ানা ডেনিয়েল পিপিপি অর্থ গ্রহন ও আনএম্পলয়মেন্ট ভাতা জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। সে ভূয়া কোভিড-১৯ টেস্ট রেজাল্টও বিক্রি করতেন। আদালতে ডেনিয়েল এসব অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন। সে একই সাথে সরকারকে ৪ লাখ ১ হাজার ২০৬ ডলার ফেরৎ দিতে সম্মত হয়েছেন।
Posted ১২:৫৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২
nykagoj.com | Monwarul Islam