
জাতীয় ডেস্ক | বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫ | প্রিন্ট | 45 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
প্রকৌশল খাতের নিয়োগ ও পদোন্নতিতে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, নবম গ্রেডের সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে কোটার ভিত্তিতে পদোন্নতি নয়, বরং নিয়োগ হতে হবে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা হতে হবে বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি।
গতকার মঙ্গলবার বুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে কর্মসূচি শুরু করেন। তারা ‘কোটা না মেধা; মেধা, মেধা’ এবং ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও’ স্লোগানে মুখর করে তোলেন ক্যাম্পাস।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, বর্তমানে প্রকৌশল খাতে চরম বৈষম্য চলছে। ডিপ্লোমাধারী উপসহকারী প্রকৌশলীরা অভ্যন্তরীণ কোটার মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত পদোন্নতি পাচ্ছেন। ফলে সহকারী প্রকৌশলী পদে বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রবেশাধিকারে বাধা তৈরি হচ্ছে। নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর তা বাতিল করে ডিপ্লোমাধারীদের পদোন্নতি দেওয়ার নজিরও রয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
তারা বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে ৩৩ শতাংশ পদোন্নতির হার নির্ধারিত থাকলেও বাস্তবে তা অতিক্রম করে ৪০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রকৃত প্রবেশ পর্যায়ের পদ সংকুচিত হচ্ছে এবং নিয়োগ পরীক্ষায় মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতার সুযোগ কমে যাচ্ছে, যা সংবিধানের ‘সুযোগের সমতা’র নীতির পরিপন্থি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, জাতীয় যোগ্যতা কাঠামো অনুযায়ী ডিপ্লোমা ডিগ্রি ‘লেভেল-৬’ এবং বিএসসি ডিগ্রি ‘লেভেল ৭’-এর অন্তর্ভুক্ত। যেখানে ডিপ্লোমাধারীরা দশম গ্রেডের পদে আবেদন করতে পারেন, সেখানে উচ্চতর ডিগ্রিধারী বিএসসি প্রকৌশলীরা সেই পদে আবেদন করতে পারেন না– এটি অবিচার ও বৈষম্যের উদাহরণ। এমন বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা প্রতিবেশী দেশগুলোতেও নেই।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা তিনটি প্রধান দাবি উত্থাপন করেন। প্রথমত, ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিধারী ব্যক্তিদেরই নিয়োগ দিতে হবে। কোনো কোটার মাধ্যমে বা ভিন্ন নামে সমমান পদ সৃষ্টি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
দ্বিতীয়ত, দশম গ্রেড বা উপসহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষায় ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারী উভয়ের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকতে হবে। তৃতীয়ত, বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া কেউ ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহার করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে এবং নন-অ্যাক্রিডেটেড বিএসসি কোর্সগুলোকে যথাযথভাবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের অ্যাক্রিডিটেশনের আওতায় আনতে হবে।
Posted ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
nykagoj.com | Stuff Reporter