
সারাদেশ ডেস্ক | শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট | 57 বার পঠিত
আট মাসের বেশি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ চালাচ্ছে দুই সদস্যের কমিটি। এ কমিটির সভাপতি গাজীপুর সিটি নির্বাচনে পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান ও সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল। গত বছরের ১৯ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তারা এ দায়িত্ব পান। কথা ছিল, দেড় মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের। কিন্তু আজও সে কমিটি হয়নি।
জাতীয় নির্বাচনের বাকি আর কয়েক মাস। গাজীপুর মহানগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দেওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে নেতাকর্মীর মধ্যে। তারা বলেছেন, সম্মেলনের আগেই মহানগরের ৯টি সাংগঠনিক থানা ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা থাকলেও হয়নি। দুটি থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং তিনটি থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর থেকেই থেমে আছে থানা ইউনিট কমিটির কাজ। এ ছাড়া সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানের পরাজয়ের হতাশাও কাজ করছে নেতাকর্মীর মধ্যে।
আজমত উল্লা খান শিবিরের বিপরীত চিত্র সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীদের মধ্যে। জাহাঙ্গীরকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার খবরে তারা উৎফুল্ল। অবশ্য জাহাঙ্গীরপন্থি নেতারা বলছেন, তারা সব সময়ই উজ্জীবিত ছিলেন। না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন বিপুল ভোটে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করতে পারতেন না।
দলীয় সূত্র জানায়, সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর আজমত উল্লা খানের নেতাকর্মীর কেউ কেউ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে নগরীর বাসন, গাছা, পুবাইল থানা ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। একই অবস্থা টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা, কাউলতিয়া সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের। সংসদ নির্বাচনের আগে সব ভেদাভেদ ভুলে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, সিটি নির্বাচন থেকে দলের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকর্মীকে সক্রিয় রাখা জরুরি বলে মনে করছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য আবদুল হাদী শামীম। সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল বলেছেন, এ মাসেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।
Posted ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter