সারাদেশ ডেস্ক | মঙ্গলবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট | 199 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ঘড়ির কাঁটায় তখন ১টা বেজে ২১ মিনিট। ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর উদ্দেশ্যে স্বপ্নের ট্রেন যাত্রা শুরু হয়। দুই ঘন্টায় ৪২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে দুপুর ২টায় সেতু পার হয়ে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি। পথিমধ্যে যাত্রাবিরতি ছিল শিবচর ও পদ্মা স্টেশনে। স্বপ্নের ওই যাত্রায় ট্রেনের প্রথম যাত্রী হিসেবে পদ্মা সেতু পার হন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
রেল যাত্রা উপলক্ষে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪২ নম্বর ও মাওয়া প্রান্তের ১ নম্বর পিলারে আতশবাজি ফাটিয়ে উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করা হয়।
যাত্রা শুরু আগে রেলমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার স্বপ্ন একটা একটা করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে তারই অংশ হিসেবে আজ ট্রায়াল ট্রেন চলছে।
তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ভাঙ্গা থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে এবং সে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, আমরাই রেলকে যশোর পদ্ধতির নিয়ে যাব। তবে তার জন্য আমাদের ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন প্রকল্পের ব্যবস্থআপক ব্রিগেডিআর সাইদ আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু করতে আমাদের তিন মাস সময় দেরি হয়েছিল । তার পরেও সময় মতো কাজ শেষ করতে পারায় আমরা আনন্দিত। ইতিমধ্যে আমাদের এই অংশের কাজের ৯২ ভাগ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ প্রকল্প মেয়াদ এর মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
দক্ষিণ বাংলার ২১ জেলার বাসিন্দাদের কাছে স্বপ্ন ছিল সেতু দিয়ে নদী পার হওয়ার। গত বছর ২৫ জুন শত বছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। মঙ্গলবার তার সাথে যোগাযোগের নতুন অধ্যায় রচিত হলো ট্রেন চালুর মাধ্যমে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে প্রাণিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু , নাহিম রাজ্জাক, সাগুপতা ইয়াসমিন এমিলি, আবদুস সোবহান গোলাপ ও মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।
পদ্মা সেতুর রেললিংক প্রকল্প সূত্র জানায়,যাত্রীদের ট্রেনে চলাচলের জন্য ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া পর্যন্ত ৪টি স্টেশন ও ১টি জংশন স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। সেগুলো হলো ভাঙ্গা স্টেশন, ভাঙ্গা জংশন স্টেশন,শিবচর স্টেশন, পদ্মা স্টেশন ও মাওয়া স্টেশন। দুপুর ১২টার দিকে ৭ বগির বিশেষ ট্রেন ও রেল ট্রাককারটি পদ্মা সেতুর দিকে রওনা হয়।
পদ্মা নদীর তীরে অতিক্রম করে প্রথম যে ট্রেনটি চালান তিনি রবিউল আলম (৪৩)। এর আগে সোমবার রাতে এই বিশেষ ট্রেনটি সৈয়দপুর থেকে ঈশ্বরদী পোড়াদাহ রাজবাড়ী ফরিদপুর হয়ে ভাঙা স্টেশনে আসে।
রবিউল আলম জানান, পদ্মা নদীর উপর দিয়ে প্রথম ট্রেন চালাচ্ছেন তিনি , এ কথা ভাবতেই তিনি শিহরিত হয়ে উঠছেন । তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে ঘটনাটা তিনি জানতে পারেন এবং তারপর থেকেই তিনি এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন।
Posted ১:১৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter