শনিবার ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোমকেয়ারের বির্তকিত সেই পিপিএল’র হেডকোয়ার্টার জর্জিয়া থেকে আলবেনীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   380 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

হোমকেয়ারের বির্তকিত সেই পিপিএল’র হেডকোয়ার্টার জর্জিয়া থেকে আলবেনীতে

হোমকেয়ারের সেই বির্তকিত পিপিএল’র হেডকোয়ার্টার জর্জিয়া থেকে আলবেনীতে স্থানান্তরিত হচ্ছে। নিউইয়র্ক স্টেটের সাথে হোম কেয়ার ব্যবসায়ীদের মামলা, আপত্তি ও বির্তকের মধ্যেই তারা সদর দফতর স্থানান্তর করলো। পাবলিক পার্টনারশিপ এলএলসি (পিপিএল), আর্থিক ব্যবস্থাপনা পরিসেবার ভোক্তা নির্দেশিত ব্যক্তিগত সহায়তা কর্মসূচির তদারকি করার জন্য চুক্তি অর্জন করার পরে জর্জিয়ার আলফারেটা থেকে তার সদর দফতর স্থানান্তরিত করেছে।

সিডিপ্যাপের (কনজ্যুমার ডাইক্টেডেট পারসোনাল এসিসট্যান্স প্রোগ্রাম) আওতায় প্রতিবন্ধী, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা এবং বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্করা বাড়িতে বসেই তাদের নিজেদের পছন্দমতো কেয়ার গিভার ঠিক করতো। প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার নিউইয়র্কার ঘরে বসেই এ ধরনের সেবা পেয়ে থাকেন। এই সিডিপ্যাপ কর্মসূচির অধীনে স্টেট প্রতিবছর খরচ করে থাকে ৯৯ বিলিয়ন ডলার। প্রায় ৭০০ সিডিপ্যাপ এজেন্সী তাদের কেয়ার গিভার হায়ার, পে রোল ও ট্যাক্স সংক্রাস্ত সেবা প্রদান করতো। বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠান এ সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু এখন এই কাজটি একাই পিপিএল করবে। প্রোগ্রামটি মেডিকেড প্রাপকদের পরিচর্যাকারীদের নিয়োগ এবং পরিচালনা করতে সক্ষম করে। যা ঐতিহ্যগত হোম কেয়ার এজেন্সিগুলো করতো।

পিপিএল আলবেনির সেঞ্চুরি হিলের ১৭ প্লাজা ড্রাইভে একটি ৩০ হাজার বর্গ—ফুট জায়গা লিজ নিয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পুরো অফিস খুলবে তারা। কাম্পানির পরিসেবাগুলির মধ্যে রয়েছে অনবোর্ডিং সাপোর্ট, ওয়ার্কার্স বেতন প্রক্রিয়াকরণ, ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট এবং খরচের তদারকি। ইতিমধ্যে রাজ্য জুড়ে ১ হাজার কর্মচারী নিয়োগ করেছে এবং নিউইয়র্কে সাতটি অফিস খোলার পরিকল্পনা করেছে তারা।

এদিকে সমালোচকরা পিিপিএল’র বিডিং প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ করেছেন, এটি শক্তিশালী স্টেকহোল্ডারদের দ্বারা প্রভাবিত । মার্কস হোমকেয়ার এলএলসি দ্বারা আলবেনি সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি মামলায় দাবি করেছে, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং স্বাস্থ্যসেবা ইউনিয়ন ১১৯৯ বড় ধরনের কারচুপি ও পক্ষপাতিত্বের মাধ্যমে পিপিএলকে কাজ পাইতে সহযোগিতা করছে।স্টেটের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আরও ৬টি মামলা কোর্টে রয়েছে।
বাংলাদেশি হোম কেয়ার এজেন্টরা একটি একক কোম্পানীর মাধ্যমে সিডিপ্যাপ পরিচালনার উদ্যোগে বিস্ময় প্রকাশ করছেন। এখন তাদেরকে সাব এজেন্টের মতো কাজ করতে হবে। একজন রোগীর বিপরীতে তারা পেতেন ঘন্টায় ২ থেকে ৩ ডলার। মার্কেটাররাও প্রতি ঘন্টায় ১ ডলার করে পেতেন। এখন তা কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন রোগীদের আত্মীয়—স্বজনরা। বাবা—মা কিংবা শ্বশুরশাশুড়িকে সেবার নামে চাকুরির মতো বেতন পেতেন। আবার বাইরে কাজ করতেন। সেবার মান ছিল শূন্যের কোঠায়। কঠোর তদারকির আওতায় সকল অনিয়ম বন্ধ হয়ে যাবে। সিডিপ্যাপের আওতায় কেয়ার গিভাররা বেতন পাবেন ঘন্টায় ১৮ ডলার। কিন্তু এখন পাচ্ছেন ২১ ডলার করে। আদৌ রোগী ঘরে বসে সেবা পাবার যোগ্য কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। যাচাইবাছাই করে সিডিপ্যাপের আওতায় আনা হবে। এমতাবস্থায় ছোট বড় ৭ শতাধিক সিডিপ্যাপ রিলেটেড হোম কেয়ার এজেন্সী সংকটের মুখে পড়বে। তবে প্রকৃত রোগীদের অনেকেই সিডিপ্যাপ বাদ দিয়ে পিসিএ’র অধীনে চলে যাচ্ছেন। যেখানে সার্টিফিকেটধারী কেয়ারগিভাররা সেবা দিয়ে থাকেন।

পিপিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভিন্স কপোলা সমালোচনার জবাবে বলেছেন, “একক, দায়বদ্ধ আর্থিক মধ্যস্থতাকারীর সাথে একত্রীকরণ কর্মসূচিতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা আনা হবে। যাদের জন্য সেবা দরকার তাদের শতভাগ নিশ্চয়তা আমরা দেব। অনিয়ম ও দূনীর্তি গ্রহণযোগ্য হবে না। ২০ টিরও বেশি স্টেটে কাজের অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে।

 

 

Facebook Comments Box

Posted ৯:৫৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com