নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৫ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 73 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিতহলে ২ কোটি অবৈধ ও বৈধ ইমিগ্রান্টকে বের করে দিবেন। প্রয়োজনে এতে সামরিক বাহিনীকে ব্যববহার করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় দেড় কোটি কাগজপত্রহীন বলে তিনি দাবি করেছেন। অবৈধভাবে যারাই আছেন তাদের সবাই ক্রিমিনাল হিসেবে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে ৫০ লাখ বৈধ ইমিগ্রান্ট রয়েছেন যারা ক্রিমিনাল একটিভিটির সাথে জড়িত। তাদেরও ডিপোর্ট করা হবে। উইসকনসনে গত বুধবার ১ মে এক নির্বাচনী সভায় এমন মন্তব্য করেন। টাইম ম্যাগাজিনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
টাইম ম্যাগাজিনে দেয়া সাক্ষাৎকারে গর্ভপাত ইস্যুটি তিনি স্টেটের ওপর ছেড়ে দেবার কথা বলেছেন।নির্বাচিত হলে ‘ডিক্টেটর’র মতো দেশ পরিচালনা করবেন বলে আগের বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্প বলেন, সেটা জোক ছিল।
টাইম ম্যাগাজিনকে ইমিগ্রেশন প্রশ্নে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অনেক ইমিগ্রান্ট তাদেও নিজ দেশে স্বীকৃত দাগী আসামী ছিল। এসব ক্রিমিনাল যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করায় আইন শৃংখলার চরম অবনতি ঘটছে।তিনি বলেন, ১৯৫৪ সালে প্রেসিডেন্ট আইসেনহাওয়ার এর শাসনামলে ‘অপারেশন ওয়েটব্যাক’ এর আওতায় মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে ১০ লাখ অবৈধ ইমিগ্রান্টকে ডিপোর্ট করা হয়েছিল। তা এখনও আমাদের কাছে মডেল হয়ে আছে। তা আমরা এখন ব্যবহার করতে পারি। অবশ্য ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারনায় একই ধরনের ইমিগ্রান্ট বিরোধী বক্তব্য ট্রাম্প দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর আর আইসেনহাওয়ার মডেল বাস্তবায়ন করেন নি।
গত দেড় বছরে মেক্সিকো সীমান্তে প্রায় ২০ লাখ মানুষ ভীর করেছিল। কিন্তু তার অর্ধেক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পেরেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও অবৈধদের ব্যাপারে তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সীমান্তে। তার দায়িত্ব নেবার পর গত ৩ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে সীমান্ত পথে প্রবেশ করেছে ৪ লাখ ইমিগ্রান্ট। তবে এ হিসেবে ইমিগ্রেশন বিভাগের তথ্যানুসারে। বাস্তবে তা ৮ লাখের কাছাকাছি।
Posted ৪:৪৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam