নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 232 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ছাত্রজনতার নেতৃত্বে গনঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটেছে। ৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার গঠিত হয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন আন্তর্বর্তকালীন সরকার। কিন্তু গত ৫ আগষ্ট সরকারের পতনের পর থেকে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়েছে। জনগনের প্রত্যাশা নতুন সরকার পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। নতুন সকারের কাছে প্রত্যাশা ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ ও বিএনপির ২ শীর্ষ নেতা ড. সিদ্দিকুর রহমান ও গিয়াস আহমেদ, কমিউনিটি লিডার ও বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাদের প্রতিক্রিয়া এখানে তুলে ধরা হলো।
সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করছিঃড. সিদ্দিক
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। শেখ হাসিনার সরকারের পতন ও বাংলাদেশ প্রশ্নে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আজকালকে বলেন,শেখ হাসিনাকে বাধ্য করা হয়েছে পদত্যাগ করতে। সেনাবাহিনী যা করেছে তা বাংলাদেশের সংবিধানের পরিপন্থী। আজকে দেশে যে অরাজকতা চলছে তার জন্যও সেনা প্রধান ও প্রেসিডেন্ট দায়ী। বাঙ্গালী জাতি একদিন তাদের বিচার করবে। প্রেসিডেন্ট তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। সিদ্দিকুর রহমান সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি করেন। তিনি অন্তর্বতীর্কালীন সরকার প্রসংগে বলেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন আমরা মানবো না। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে দেশে কোন নির্বাচন হবে না।
শেখ হাসিনা ছিলেন অনেক আওয়ামী লীগারদের মানি মেশিনঃনার্গিস আহমেদ
বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ বলেন, ড. ইউনুস শ্রদ্ধার মানুষ। বিশ্বব্যাপী তার সুখ্যাতি রয়েছে। তার ইমেজের উপর ভর করে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। ছাত্র আন্দোলন প্রসংগে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের শোষন—নির্যাতন, দুনীর্তি ও দাম্ভিতার কবর দিয়েছে আমাদের ছাত্ররা। দলীয় চশমা পড়ে এবার কেউ আন্দোলন করে নি। তারা কোটা সংস্কার থেকে রাষ্ট্র সংকারের শপথ নিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। এই বিজয়ে দলীয় লেবাস লাগলে শত শত ছাত্রজনতার রক্ত বৃথা হয়ে যাবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে রাষ্ট্রটি সংস্কার করার জন্য অনুরোধ করছি। আয়না ঘর ও হাওয়া ভবনের পুনরাবৃত্তি বাংলার মানুষ দেখতে চায় না। নার্গিস আহমেদ বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি হিসেবে আর কোন মায়ের কোল খালি হোক তা দেখতে চাই না। কেউ স্বামীহারা, কেউ বাবা হারা হোক তা আমাদের প্রত্যাশা নয়। তিনি বলেন, প্রবাসে এখনও দেখছি আওয়ামী লীগের অনেকে কান্নাকাটি করছেন তাদের নেত্রীর জন্য। অথচ সেই নেত্রী লাখ লাখ কর্মিকে বিপদে ফেলে বোনকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন। শেখ হাসিনা ছিলেন অনেক আওয়ামী লীগারদের মানি মেশিন। তারাই এখনও কান্নকাটি করছে। নইলে বাড়ির একজন চাকর কি করে ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়।
ড. ইউনুসের সফলতা কামনা করছিঃশাহ নওয়াজ
আজকাল সম্পাদক শাহ নওয়াজ বলেছেন, নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হলো। আইনশৃংখলা ও অর্থনীতি সরকারের চ্যালেঞ্জ। ড. ইউনুস শ্রদ্ধার মানুষ। বিশ্বব্যাপী তার সুখ্যাতি রয়েছে। তার ইমেজের উপর ভর করে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। ড. ইউনুসের সফলতা কামনা করছি।
ছাত্রলীগের গুন্ডারা মন্দির—গির্জা ভাংচুর করছে পরিকল্পিতভাবেঃ গিয়াস আহমেদ
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জ্যাকসন হাইটস বিজনেস এসোসিয়েশনের সভাপতি গিয়াস আহমেদ আজকালকে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। গনঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীনতা পেল। গত ১৬টি বছর দেশটি ছিল একটি আয়না ঘর ও জেলখানা। ছাত্রজনতা আওয়ামী দুঃশাসনের কবর দিয়েছে। কিন্তু একটি অভ্যুত্থানের পর নানা বিশৃংখলা দেখা যায়। বাংলাদেশেও তা ঘটছে। সরকার নেই। পুলিশ বাহিনী নেই। এর পাশাপাশি আওয়ামীলীগের চক্রান্ত চলছে। এমতাবস্থায় দেশে অশান্তি বিরাজ করছে। ছাত্রলীগের গুন্ডারা মন্দির—গির্জা ভাংচুর করছে পরিকল্পিতভাবে। আশা করছি, দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকার সকল বিশৃংখলা কঠোর হস্তে দমন করবেন। সহসাই গৌরবের বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসবে।
বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোকঃআসেফ বারী টুটুল
যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক ও সাপ্তাহিক বাংলা পোষ্ট’র প্রকাশক আসেফ বারী টুটুল এক প্রতিক্রিয়ায় আজকালকে বলেন, দেশে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়েছে। এতে সংযোজিত হয়েছে তরুন প্রজন্মের প্রতিনিধি। একজন প্রবাসী হিসেবে চাইবো বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক। গনতন্ত্রের লেবাসে যেন স্বৈরশাসক চেপে না বসে। গত কয়েকদিন দেশে পুলিশ বাহিনী নেই। এমতাবস্থায় ছাত্র ও তরুন সমাজ যে দায়িত্ব পালন করেছে তার তুলনা হয় না। আমরা আশা করবো, বাংলাদেশ নব উদ্যমে এগিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে।
বাংলাদশের আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ দেখলামঃফকরুল ইসলাম দেলোয়ার
জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফকরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেছেন, এই ছাত্র আন্দোলনকে সবাই নতুন বাংলাদশের আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করে আসছে। কারণ গত ১৫—১৬ বছর ধরে সরকারের আশেপাশের লোকজনই সব দখলে রেখেছিল। মনে হচ্ছিল সরকারি লোকজনই রাজা ও দেশের মালিক। বাকিরা প্রজা। তাই আগামী দিনের বাংলাদেশ হোক সবার। কোন বৈষম্য থাকবে না, কোন নিপিড়ন থাকবে না, রাজা—প্রজা থাকবে না। আইন ও অধিকার হোক সবার জন্য সমান।
Posted ৩:৪৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam