
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট | 412 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
স্ট্রিট ভেন্ডর নিয়ে ফুঁসে উঠছেন জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ীরা। যততত্র রাস্তার উপর দোকান খুলে হাঁকডাক দিয়ে ক্রেতা ডাকছেন তারা। রাস্তাজুড়ে দোকান সাজান। পথচারিরা হাঁটতেও পারেন না এসব অস্থায়ী দোকানীদের তৎপরতায়। জ্যাকসন হাইটসের ৭৩,৭৪ স্ট্রিট,৭৩ রোড, রুজভেল্ট ও ৩৭ এভিনিউ এখন লাগেজ দোকানীদের দখলে। ২টি লাগেজ নিয়ে এসে রাস্তার উপর অস্থায়ী টেবিল বসিয়ে তারা দোকান খুলে বসেন। সেটি কাপড়, ইমিটেশন জুয়েলারি, পার্টস ব্যাগ কিংবা কম্বদের দোকান হতে পারে। বসছে পানসুপারীর দোকানও। টুপি, জায়নামাজ ও হেজাবের দোকানতো আছেই। পথযাত্রীদের চলাফেরাতে যে বিঘœ ঘটছে তাদের তোয়াক্কা নেই। ৭৩ স্ট্রিট ও আপনাবাজার এলাকা, খাবারবাড়ি, নবান্ন ও হাটবাজার রেষ্টুরেন্টের সামনের রাস্তা দিয়ে সাধারন মানুষ হাঁটতে পারে না। পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ যা ঢাকার গুলিস্থানকেও হার মানিয়েছে। পুলিশ দেখেও না দেখার অভিনয় করছে।
জ্যাকসন হ্ইাটস এলাকায় একটি দোকানের ভাড়া নুন্যতম ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার ডলার। সারা বছর যেনতেন হলেও দুটি ঈদের জন্য ব্যবসায়ীরা আগ্রহ নিয়ে বসে থাকেন। কিন্তু এবার ঈদুল ফিতর ছিল তাদের জন্য ব্যতিক্রম। পুরো জ্যাকসন হাইটস এলাকা ছিল পথ দোকানীদের দখলে। কেমন ব্যবসা হচ্ছে এবারের ঈদে? এমন প্রশ্ন ছিল কয়েকটি কাপড় ব্যবসায়ীর মালিককে। ক্ষোভ ও হতাশায় তারা বলেন, কাস্টমাররাতো দোকানে ঢুকছেন না। তারা রাস্তার ওপর থেকেই কিনে চলে যাচ্ছেন। দু-একজন যারা আসেন তারা আমাদের দোকানের কাপড়ের দাম শুনে আস্তে কেটে পড়েন। বলেন, ভাই বাইরেতো হাফ দাম চাচ্ছে। ঘরের ভাড়া ও কর্মচারিদের বেতন দিয়ে আমরা রাস্তায় বসা দোকানীদের সাথে পারবো কি করে। আলাপকালে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশনের (জেবিবিএ) এক সদস্য ক্ষোভ নিয়ে বলেন, কোথায় জেবিবিএ নেতারা? তারাতো আমাদের শেষ করে দিলেন। তারা যদি আমাদের রক্ষায় না আসেন, তবে এ জেবিবিএ রেখে লাভ কি?
জেবিবিএ’র সভাপতি গিয়াস আহমেদের দৃষ্টি আর্কষন করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, কয়েকজন ব্যবসায়ী বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। দোকান ভাড়া, কর্মচারির বেতন ও ট্যাক্স দিয়ে তারা ব্যবসা করতে পারছেন না। অথচ দুটি ব্যাগ নিয়ে এসে দোকান খুলে বসলেন। এাঁ মানা যায় না। এবারের ঈদে অনেক দোকানের মালিক ব্যবসা করতে পারেন নি। আমরা সহসাই এ ব্যাপারে বৈঠক করে পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলবো। আশা করি, আগামী কুরবানী ঈদের আগেই একটা সিদ্ধান্ত দিতে পারবো ইনশাল্লাহ। এ ব্যাপারে জেবিবিএ’র (হারুন-সোলায়মান) সাধারন সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান প্রতিকেদককে বলেন, ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ ও হতাশা আমরা বুঝি। এবার ঈদে যা ঘটেছে তা যেন আগামীতে না ঘটে। জেবিবিএ.র সভা করে স্থানীয় পুলিশ ও জন প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলবো। তবে এটাও সত্য, কিছু দোকানদার কিন্তু নিজেরাই বাইরে দোকান খুলে বসেছিলেন। তাদের সহযোগিতা ছাড়া অন্য কারও দোকান খুলে বসা কঠিন। তবু বলছি, জেবিবিএ’র সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে আমরা আন্দোলনে নামবো।
Posted ১:৩৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam