নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 198 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
অসম্ভবকে সম্বভব করাই যার কাজ। সৃষ্টিশীল কর্মকান্ডে যিনি তুলনাহীন। রন্ধন শিল্পের যেমন জাদুকর, তেমনি বন্ধুবৎসলতায় তার জুরি নেই। প্রত্যেক কাষ্টমারই তার আপনজন ও বন্ধু। তিনি আর কেউ নন। শেফ খলিলুর রহমান। ট্রাই স্টেট নিউইয়র্ক,নিউজার্সি ও কনেক্টিকাট সহ পেনসিলভানিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এক নামে তাকে চেনেন। তিনি আর কেউ নন। খলিল বিরিয়ানী হাউজের খলিলুর রহমান। প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ডপ্রাপ্ত খলিলের নাম ভোজনবিলাসী বাংলাদেশিদের মুখেমুখে।
সেহরি পার্টিকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোন থেকে এতও জনপ্রিয় করে তোলা যায় তার কারিগর হলেন খলিলুর রহমান। ইফতার পার্টি থেকে এখন তা রুপ নিয়েছে সেহরি পার্টিতে। নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যেত না। গত শনিবার ৩০ মার্চ রাতে এমনি একটি সেহরি পার্টি ছিল। ব্রঙ্কসের খলিল বিরিয়ানী হাউসে গত ২৩ মার্চ প্রথম সেহরি অনুষ্ঠানের সাফল্যের পর দ্বিতীয় অনুষ্ঠানটা ভোজনবিলাসীদের মেলায় পরিনত হয়। রাত ২টায় শুরু হয় সেহরি খাবার পর্ব। ২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ৪ দফায় মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়।অনেকে টেবিল খালি হবার অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কুইন্স থেকে আসা আলমগীর খান আলম, নুরুল আজিম, আহসান হাবিব, সোনিয়া ও সেলিম ইব্রাহিমরা কাষ্টমারদের ভীর দেখে আড্ডায় মশগুল হন নি। সেহরি খাবার শেষে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। পাকিস্তানি কয়েকজন কাষ্টমারও এসেছিলেন। ট্রাই স্টেট থেকেও বেশ কয়েকজন কাষ্টমার এসছিলেন এই সেহেরির আস্বাদন নিতে। গরম গরম ভাজা ইলিশ খেয়ে রোজাদাররা প্রসংশা করছিলেন খলিলুর রহমানের। রাত ৩টায় অনেকেই টেলিফোন করে রেষ্টুরেন্টের সেহরি পার্টির খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। টেলিফোন রিসিপসনিস্ট সিট খালি না থাকার কথা সবিনয়ে জানাচ্ছিলেন। নিউইয়র্কে এতও মানুষের সমাগমে আর কখনো সেহরি পার্টি অনুষ্ঠিত হয় নি।
শেফ খলিল প্রতিবেদককে বলেন, সেহেরী অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনের জন্য চায়নিজ রেস্টুরেন্টটি বিকেলেই পুরোটা বুকড হয়ে যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাত ১২ টা থেকেই লোকজন এসে নিজ নিজ আসন নিচ্ছেন। বিরিয়ানী হাউস সেন্টার এবং চাইনিজ রেস্টুরেন্টের উভয় মিলনায়তন লোকজনে ভরপুর। সর্বত্র যেন একটা উৎসবের আনন্দ বিরাজ করছে।
অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য বরাবরের মত শেফ খলিল নিজেই রান্না করছিলেন।তিনি জানান,আজকে এত রাতে কস্ট করে যারা এখানে হাজির হচ্ছেন সবাই আমার সম্মানিত মেহমান।তাদের জন্য নিজের হাতে রান্না করে নিজেই সম্মানিত বোধ করছি।
খাবারের মধ্যে ছিলো,সাদা ভাত, পোলাও,লট্য়া সুটকি,,আলু ভর্তা,চিকেন রোস্ট ,চিলি চিকেন ,চিকেন উইথ আলু, বিফ ভুনা, খাসির রেজালা,লাউ চিংড়ি,ডাল ইত্যাদি।এছাড়াও ছিলো রাইস পুডিং,দৈ, সন্দেশ ও নানা ধরনের ফলের সমারোহ। সাথে পানি ও ছিল চা। যত খাবেন মূল্য ছিল মাত্র ২০ ডলার।
Posted ৩:৫১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam