`এলো এলো বৈশাখ এলো পঞ্চিকাটি বদলে গেলো। একটি দিনের বাঙালীভাব,সবার মনে একই প্রভাব।’
বৈশাখকে নিয়ে বাংলার কবি,লেখকেরা যুগে যুগে কালজয়ী রচনা উপহার দিয়েছেন । এসো হে বৈশাখ এসো এসো পরম আদরে ডাক দিয়ে কাছে টেনে নিচ্ছেন গানের মাধ্যমে।পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন,তথা বাংলা নববর্ষ ।নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য শুভ নববর্ষ ।চৈত্রের শেষ রাত্রি পেরিয়ে মলিন শয্যা তুলে বৈশাখীর আসার আশায় আমাদের মন উন্মুক্ত হয়ে থাকে। এবারে ১৩ই এপ্রিল অর্থ্যাৎ চৈত্রের শেষ রাত্রিতে বৈশাখকে বরণ করার জন্য শো টাইমস মিউজিকের সবার প্রিয় আলমগীর খান আলম ভাই বৈশাখী ডিনারের ব্যবস্থা করেছিলেন জ্যাকসন হাইটসে Chef’s Mahal রেস্টুরেন্টে।বাংলাদেশে রমনাপার্কে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার অভিজ্ঞতা কমবেশি সবার আছে।কিন্তু রেস্টুরেন্টে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার অনুভূতিটাই ভিন্নরূপ।যার স্বাদ পেয়েছি আলমগীর খান আলমের আমন্ত্রণে। বাংলা সালের প্রবর্তন করেন মোঘল সম্রাট আকবর এবং তাঁরই শাসনকালে প্রথম পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়।মোঘল সম্রাট আকবর পহেলা বৈশাখ প্রবর্তন করলেও এখন তা ব্যাপক আকারে প্রসারিত ।নিউইর্য়কে তিন চার জায়গাতেই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।নিউইর্য়কের পহেলা বৈশাখীর কর্ণধার আলম ভাইয়ের জুড়ি নেই।তিনি বাংলার প্রতিটা পার্বনকে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেন।কিছুদিন আগে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানটি ব্যাপক আলোড়ন সৃ্ষ্টি করে।এবারেও তিন চার জায়গায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালা হওয়া সত্ত্বেও ১৪ই এপ্রিল দ্যা মেরি লুইস একাডেমিতে উপচে পড়া মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যায়,যা প্রশংসনীয় ।বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী বন্যা তালুকদার ,ফিডব্যাক খ্যাত লুমিনের গান ছিল অন্যতম আকর্ষণ।শিল্পী লুমিন মেলায় যাই রে, মেলায় যাই রে—গানটি গেয়ে সবাইকে নাচিয়ে তুলেছিলেন। তাই তো শো টাইমস মিউজিকের আলমগীর খান আলম ভাইয়ের (দ্যা মেরি লুইস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বৈশাখী উৎসব ১৪৩১ নাম দিলাম পাঁচ ফোড়ন।পাঁচ ফোড়ন তরকারিতে স্বাদ বাড়াই,আলম ভাইয়ের বৈশাখী উৎসবটিও পাঁচ ফোড়নের মত স্বাদ বাড়িয়েছিল,নানা রকম স্টল,পান্তা-ইলিশ,গান-নাচ প্রভৃতির মাধ্যমে।উপহার পেলে কার না ভাল লাগে ?পাঁচ ফোড়নের মধ্যে এই পর্বটিও বিদ্যমান।সবাইকে শাড়ী- পান্জাবী দিয়ে বরণ করেছিলেন । সবশেষে বলতে চাই,সম্রাট বা শাসক যে উদ্দেশ্যেই পহেলা বৈশাখ চালু করুক না কেন,এখন তা বাঙ্গালীর সর্বজনীন উৎসব হয়ে উঠেছে ।শোটাইম মিউজিক-এর দুইদিন ব্যাপী বর্ষবরণ ১৪৩১ বর্ণিল উৎসবে আমন্ত্রণ অতিথিদের দেখে মনে হচ্ছিল ,যেন কোন সুদূর দেশ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে কোন ধর্মীয় সংষ্কৃতিতে নয়,বাঙ্গালী মেতেছে তার শেকড়ের উৎসবে।