শনিবার ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচ মাস বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে বর্জ্য তুলা রপ্তানি বন্ধ

অর্থনীতি ডেস্ক   |   রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   119 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

পাঁচ মাস বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে বর্জ্য তুলা রপ্তানি বন্ধ

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বর্জ্য তুলা ও সুতা এবং পাটের বর্জ্য রপ্তানি প্রায় ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এসব পণ্য বিপজ্জনক উল্লেখ করে ভারতের স্থল শুল্ক দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।

১৯৮৮ সালে চালু হয় বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর। শুরু থেকে এ স্থলবন্দর হয়ে ভারতে বর্জ্য তুলা ও সুতা এবং পাটের বর্জ্য রপ্তানি করা হয়। এ বছরের ১১ এপ্রিল প্রায় ৩০ ট্রাক বর্জ্য তুলা ও সুতা এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি করার পর থেকে বন্ধ রয়েছে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের তুলা ও সুতা রপ্তানিকারকরা জানান, গত ১২ এপ্রিল ভারতের আমদানিকারকরা জানান, এ স্থলবন্দর দিয়ে আর এসব সামগ্রী আমদানির অনুমতি দিচ্ছে না চ্যাংড়াবান্ধা স্থল শুল্ক (কাস্টমস) দপ্তর। ভারতীয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রায় ১ মাস পর গত ১০ মে ভারতের জলপাইগুড়ি ফুলবাড়ী ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সে দেশের আমদানিকারকদের চ্যাংড়াবান্ধা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দেয়। চিঠিতে ভারতীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র বা অনুমতিপত্র ছাড়া বাংলাদেশ থেকে বর্জ্য তুলা ও সুতা এবং পাটের বর্জ্য আমদানি নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি রুহুল আমীন বাবুল বলেন, ‘হঠাৎ করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সে দেশে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এ বন্দর দিয়ে না নিয়ে অন্য বন্দর দিয়ে নিচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে রংপুর কাস্টমস কমিশনারকে জানিয়েছি; কিন্তু এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’

বুড়িমারী স্থলবন্দরের রপ্তানিকারক মেসার্স বন্ধু ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শামীম হোসেন বলেন, বর্জ্য তুলা ও সুতা রপ্তানি বন্ধ থাকাং বৈদেশিক মুদ্রা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। সমস্যা সমাধানে বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দেখা জরুরি।

ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা শুল্ক স্টেশনের কাস্টমস সহকারী কমিশনার নিমা শেরপা জানান, ‘বর্জ্য তুলা ও সুতা এবং পাটের বর্জ্য আমদানি বন্ধ করা হয়নি। পরিবেশ দূষণের বিষয়টি ঠিক রেখে ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে যথাযথ পদ্ধতিতে আমদানি চলছে।

বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার আব্দুল আলীম বলেন, ‘বর্জ্য তুলা ও সুতা এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি বন্ধ আছে। আমরা সে দেশের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারা জানিয়েছে– তাদের দেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া এ সামগ্রীগুলো আমদানি করতে দেবে না।

Facebook Comments Box

Posted ৯:০১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com