অর্থনীতি ডেস্ক | রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 82 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
হিমাগারে যে পরিমাণ খাবারের আলু সংরণ করা হয়, তার ৫৫ শতাংশের মালিক ব্যবসায়ী এবং কৃষক। মাত্র ১ শতাংশ আলু হিমাগার মালিকদের। তাই এক শতাংশের অংশীদার কোনোভাবেই দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রভাব রাখতে পারে না।
রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন সংগঠনটির সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। আলুর সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মোস্তফা আজাদ বলেন, হিমাগারে যে পরিমাণ আলু সংরক্ষণ করা হয়, তার ৪০ শতাংশ বীজ আলু, ৫৫ শতাংশ খাবারের আলু এবং ৪ শতাংশ শিল্পে ব্যবহৃত আলু। খাবারের আলুর মাত্র এক শতাংশ হিমাগারের মালিকদের। ৫৫ শতাংশই মজুদদার ব্যবসায়ী ও কৃষকদের। অতএব, দাম বাড়ানোর বিষয়টি তারা বলতে পারবেন।
বিগত বছরে আলুতে লোকসান হওয়ায় কৃষকেরা অন্য ফসল উৎপাদনে মনোনিবেশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরেজগুলোর তথ্য মতে, চলতি বছর ২৩ লাখ ১২ হাজার টন আলু হিমাগারে রাখা হয়েছে। অথচ গত বছরে ছিল প্রায় ২৪ লাখ ২০ হাজার। সেই হিসাবে গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার টন আলু কম এসেছে হিমাগারে। সেজন্য হিমাগারের ২০ শতাংশ জায়গা খালি পড়ে আছে।
আলু উৎপাদনের সরকারি তথ্য সঠিক নয় মনে করেন বিসিএসএর সভাপতি। তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮৫ লাখ টনের বেশি উৎপাদন হয়নি। অথচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ১ কোটি ১২ লাখ টন হয়েছে। দেশে আলুর চাহিদা ৯০ লাখ টন। তাহলে এ বছর ২২ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকার কথা। তাহলে সংকট হওয়া কথা নয়। বর্তমানে দেশের ১৫০টি হিমাগারে ৮ লাখ ৬৬ হাজার টন (১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) আলু মজুত রয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৬২ হাজার টন কম। মজুতের এ চিত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ২০ মে থেকে যখন আলু খালাস হওয়া শুরু হয় তখন হিমাগার ফটকে আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ২৬-২৭ টাকা। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৬ টাকা দরে। যা অস্বাভাবিক। আলুর দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সমিতিভুক্ত নয় এমন অসাধু কিছু হিমাগার মালিকেরও দায় আছে।
আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে তার পরামর্শ হলো, যে বছর উৎপাদন কম হবে সেই বছর সরকার কৃষকদের থেকে আলু কিনে বিভিন্ন জেলায় হিমাগারে রেখে সংকটের সময় ক্রয়মূল্যে বিক্রি করতে পারে। এতে দাম স্থির থাকবে। আবার উৎপাদন বেশি হলে কৃষকদের স্বর্থ রক্ষায় উদ্বৃত্ত আলুর ত্রাণকার্য, কাবিখা, ওএমএস, ভিজিডি, জেলাখানায়, আইন-শৃঙ্খলা কবাহিনীদের মধ্যে বিতরণ করতে পারে সরকার।
Posted ২:৩৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter