শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিম পেঁয়াজ মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে আটা-চিনির

ডেস্ক রিপোর্ট   |   শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২   |   প্রিন্ট   |   279 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

ডিম পেঁয়াজ মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে আটা-চিনির

নিত্যপণ্যের বাজারে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও পেঁয়াজের দাম কমলেও বেড়েছে আটা-ময়দা চিনি ভোজ্যতেল ও মসুর ডালের। বাজারে উঠেতে শুরু করেছে পেঁয়াজ পাতা ও নতুন আলু। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। এছাড়া দেশী জাতের মাছের দাম কিছুটা কমলেও ইলিশ মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সরবরাহ বাড়লেও শীতের সবজির দাম কমছে না। চিনির সরবরাহ আরও কমেছে।
শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, কাপ্তান বাজার, মুগদা বড় বাজার, খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কাঁচা বাজার ও মালিবাগ রেলগেট বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গত কয়েক দিন একটু একটু করে কমে আসছিল সব ধরনের মুরগির দাম। সর্বশেষ শুক্রবার ঢাকায় প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগেও ব্রয়লার মুরগি কিনতে ১৮০-১৯০ এবং সোনালি মুরগিতে ৩৩০-৩৪০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়েছে একজন ভোক্তাকে। মুরগির দাম কমায় সীমিত আয়ের মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে ডিমের দাম কমেছে সামান্য। প্রতিহালিতে ১ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৭ টাকায়।
পেঁয়াজ পাতার ভারে দেশী ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতিকেজি দেশী ও আমদানিকৃত পেঁয়াজে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকায়। খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন বাজার থেকে পেঁয়াজ পাতা কিনছিলেন তিলপা পাড়ার বাসিন্দা মোসারফ মিয়া। তিনি জানান, এতে দুই লাভ পাতা ও পেঁয়াজ দুটোই একসঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে।

বাড়তি পাওয়া সবজি হিসেবে খাওয়া হচ্ছে পাতা। তিনি বলেন, গত সপ্তায় প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ ৬০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। কিন্তু পেঁয়াজ পাতা ওঠার পর বাজারে পুরনো পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, অলিগলিতে ভ্যানগাড়িতে করে ৫ কেজির পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। এক্ষেত্রে প্রতিকেজির দাম পড়ছে ৪০ টাকা। তিনি বলেন, পণ্যের দাম ধীরে ধীরে কমতে শুরু করায় বাজারে স্বস্তি ফিরে আসছে।

তবে চিনি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে মোসারফ মিয়ার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চিনি তো পাওয়াই যাচ্ছে না, দশ দোকান ঘুরে এক দোকানে মিলছে। প্যাকেট চিনি তো একদমই নেই। খোলা চিনি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মানভেদে। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে এটা হচ্ছে। চিনি সিন্ডিকেটদের ধরতে হবে।
এছাড়া বাজারে আসতে শুরু করেছে নতুন আলু। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়। তবে পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৮ টাকায়। নতুন আলু এখন উচ্চবিত্তের খাবার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দাম বেড়ে প্রতিকেজি আটা প্যাকেট ৬৩-৬৬, আটা খোলা ৬০-৬২, ময়দা প্যাকেট ৭৮-৮০, ময়দা খোলা ৭০-৭৫, ভোজ্যতেল সয়াবিন খোলা ১৭০-১৮০, সয়াবিন পাঁচ লিটারের ক্যান ৮৭০-৮৮০, সয়াবিন এক লিটার ১৮০-১৮৫, পামওয়েল খোলা ১২০-১২৫ ও পামওয়েল সুপার ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।

এছাড়া প্রতিকেজি মসুর ডাল জাত ও মানভেদে ১১০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। মুদিপণ্যের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিলারদের কারণে ভোজ্যতলের দাম বাড়ছে। ইতোমধ্যে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে করে বাজারে চাহিদা মতো তেলের সরবরাহও নেই। তাই দ্রুত খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়াতে হবে।

Facebook Comments Box

Posted ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com