নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০২ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 204 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি বেশ কিছু হোম কেয়ার ব্যবসায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এফবিআই এর নজরে রয়েছেন। তারা জড়িয়ে পড়তে পারেন মেয়র এরিক এডামসের নির্বাচনী তহবিল কেলেংকারির সাথে। তার প্রধান ফান্ড রেইজার উইনি গ্রিকোর ২টি বাড়ি ও অফিসে এফবিআই’র তল্লাশী অভিযান চালানের ফলে আতংক দেখা দিয়েছে কয়েকটি হোম কেয়ার ব্যবসার মালিকদের মধ্যে। ফান্ড রেইজিং এর নামে সিটি মেয়র এরিক এডামসকে নিয়ে ‘শো আপ’ করার বাতিক সম্প্রতি পেয়ে বসেছে কমিউনিটির কিছ উঠতি ব্যবসায়ীর। প্রকৃত অর্থে যার আতিথেয়তা মেয়র গ্রহন করেন তিনিই ফান্ড সংগ্রহের পুরো অর্থ দিয়ে দেন। সম্প্রতি জামাইকাস্থ একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে মেয়র উপস্থিত ছিলেন। বির্তকিত এই ব্যবসায়ীর অনুষ্ঠানে মেয়র কেন আসলেন তা অনেকেরই প্রশ্ন ছিল। অনেকেই বলেছেন, ফান্ড সংগ্রহ। ডোনেশনের পরিমান ছিল প্রায় ২৫ হাজার ডলার। এই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান ও ২৫ হাজার ডলার ডোনেশন ছিল বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ‘টক অব দ্যা সিটি’। বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এডামসের নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহকারি উইনি গ্রিকো বেশ পরিচিত ও ঘনিষ্ট।
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামসের প্রধান এইড উইনি গ্রিকোর ২টি বাড়ি ও অফিসে তল্লাশী অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা একযোগে এ অভিাযান চালায়। বাড়ি দুটি ব্রংকস ও ব্যক্তিগত অফিস কুইন্সের ফ্লাসিং এ অবস্থিত। বিষয়টি এফবিআই এর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমস, এএম, নিউইয়র্ক পোষ্ট শুক্রবার ফলাও করে এ সংবাদ পরিবেশন করেছে।
নিউইয়র্ক সিটির বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি হোম কেয়ার ব্যবসায়ী তহবিল সংগ্রহের নামে চাঁদা দিয়ে থাকেন মেয়র এরিক অ্যাডামসকে। মেয়রের শীর্ষ উপদেষ্টা উইনি গ্রিকোর মালিকানাধীন দুটি বাড়ি ও অফিসে হঠাৎ এফবিআইয়ের তল্লাাশি অভিযানের পর বাংলাদেশি হোম কেয়ার ব্যবসায়ীদের নাম উঠে এসেছে আলোচনায়। মেয়রের নির্বাচনী ফান্ড সংগ্রহের সাথে তারা জড়িত কিনা তা বেরিয়ে আসতে পারে এফবিআই’র তৎপরতায়।
এদিকে ২০২১ নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের অনিয়ম নিয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।হঠাৎ করে গত বৃহস্পতিবার উইনি গ্রিকোর ২টি বাড়ি ও অফিসে তল্লাশী অভিযান চালিনোর ফলে কমিউনিটিতে কানাঘুষা শুরু হয়েছে। কারন উইনির সাথে বাংলাদেশিদের ঘনিষ্ঠতা বেশি। মেয়র শুক্রবার বলেছেন, উইনির ব্যাপারে এফবিআই আমার সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। তবে যেকোন অভিযোগ ও তদন্তে আমার প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবে। সিটি প্রশাসন উইনীকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবারেই। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ছুটিতেই থাকবেন। এ ঘটনা নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বইছে সমালোচনার ঝড়।
সিটি হলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, মিসেস গ্রেকো ২৯ ফেব্রুারি থেকে প্রশাসনিক ছুটিতে রয়েছেন। এদিকে ঠিক কী কারণে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি এফবিআই। তবে অ্যাডামস ও গ্রিকোর বিরুদ্ধে বিদেশি প্রভাবের অভিযোগসহ মেয়রের প্রচারণার রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহের বিষয়ে এফবিআই তদন্ত করছে। এই তদন্তের অংশ হিসেবে তল্লাশি অভিযান চালানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Posted ৭:৪৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ মার্চ ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam