নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট | 151 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড একাউন্ট হ্যাকারদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে এফবিআই। গত ৩ মাসে ২১ লক্ষাধিক আমেরিকানের অর্থ লুটে নিয়েছে সাইবার লুটেরা গ্রুপ। যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ৫ এপ্রিল বুধবার এক ঘোষণায় বলেছে, ক্রিমিনাল অনলাইন মার্কেটপ্লেস ‘ জেনেসিস মার্কেটপ্লেস’ এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরা জনগনের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে বিক্রি করে থাকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, আইডি, পাসওয়ার্ড, ইমেইল এড্রেস,ব্যাংক একাউন্ট, সোসাল সিকিউরিটি নাম্বার ও সোশাল মিডিয়িা সংক্রান্ত তথ্যাদি। এটর্নি জেনারেল ম্যারিক বি গারল্যান্ড বলেছেন, সারা দেশের ৪৫টি এফবিআই ফিল্ড অফিস ও আর্ন্তজাতিক পার্টনাররা প্রধান প্রধান ক্রিমিনাল মার্কেটপ্লেসের ওপর সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। তাদের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে সকল ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ জেনেসিস মার্কেটপ্লেস’ গত ৩ বছরে সারা বিশ্বে ৮ কোটি একাউন্ট একসেস এর ক্রেডিনসিয়াল চুরি করেছে। দুনিয়াজুরে এটি মহামারি আকার ধারন করেছে।
সাইবার ক্রিমিনালের হামলায় দেশে ও প্রবাসে বাংলাদেশিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। নিউইয়র্কের কুইন্স,ব্রংকস ও ব্রুকলিনের বহু প্রবাসী বাংলাদেশি এ হামলার শিকার হয়েছেন। কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস্থ টিডি ব্যাংকের অনেক কাষ্টমারই এ হামলার শিকার। ফেডারেল সরকারের একজন বাংলাদেশি অফিসার বাস করেন জ্যাকসন হাইটস এলাকায়। তিনি আলাপকালে বলেন, প্রথমে আমার টেলিফোন হ্যাক হয়। এরপর থেকে আমার টিডি ব্যংকের চেকিং ও ক্রেডিট কার্ড থেকে প্রতারকরা ডলার তুলতে শুরু করে। বিষয়টি সাথে সাথে ব্যাংকের নজরে আনা হয়। ব্যাংক আমার অর্থ ফেরত দিয়েছে। ইস্যু করেছে নতুন ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড। মজার বিষয় হচ্ছে, নতুন ক্রেডিট কার্ড আমার ঠিকানায় পৌঁছার আগেই হ্যাকাররা তা ব্যবহার করে কেনাকাটা শুরু করে দেয়। ক্যাশ উত্তোলন করে। বিষয়টি আবার টিডি ব্যংাকের নজরে আনি। তারা সে কার্ড বাতিল করে নতুন কার্ড ইস্যু করে। একই ঘটনার আবারও পুনরাবৃত্তি ঘটে। কার্ড আমার হাতে আসার আগেই হ্যাকাররা ব্যবহার শুরু করে। শেষমেষ টিডি ব্যাংক একাউন্ট ও ক্রেডিট কার্ড বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি। জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ী মমিন মজুমদারের চেজ ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড হ্যাক হয়েছিল ২ মাস আগে।
ব্রংকসে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী খলিল বিরিয়ানীর সিইও ও প্রেসিডেন্ট খলিলুর রহমান। তিনি কয়েকদিন আগে সাইবার হামলার শিকার হন। এতে হ্যাকররা তার ব্যংক অব আমেরিকা ও টিডি ব্যংক থেকে অর্থ তুলে নেয়। নর্থ ক্যরোলিনায় এ লেনদেন করেছে তারা। এ ব্যাপারে খলিলুর রহমানের দৃষ্টি আর্কষন করলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা কয়েকদিন আগে ঘটেছিল। সাথে সাথে আমি ব্যংাকে রিপোর্ট করি। কয়েক দিনের মধ্যে ব্যাংক আমাকে তা ফেরত দিয়েছে। সংশ্লিষ্ঠ একাউন্ট বন্ধ করে রেখেছি। তবে ক্ষতি হয়েছে আমার ক্রেডিট লাইনে। তিনি বলেন, ক্রেডিট ও ব্যাংক কার্ড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কমিউনিটির ভাইবোনদের সর্তক হবার আহবান জানাচ্ছি। নিয়মিত একাউন্ট মনিটর করা উচিত। ব্রংকসের আরেক ব্যবসায়ীর বিজনেস একাউন্ট থেকে হ্যাকাররা তুলে নিয়ে গেছে ৫০ হাজার ডলার। তিনি ঘটনার স্বীকার করলেও নাম প্রকাশে সম্মতি দেন নি। তিনি এলাকায় বড় ধরনের গ্রোসারী ব্যবসায়ী। ব্যাংক কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বাংলাদেশিরা শংকার মধ্যে রয়েছেন। অনেকেই এখন ক্রেডিট ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এদিকে নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে গত বৃহস্পতিবার ৬ এপ্রিল ফোন স্ক্যাম থেকে সর্তক থাকার জন্য নিউইয়র্কারদের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
Posted ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam