ডেস্ক রিপোর্ট | শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 154 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
তদন্ত সংস্থা ডিবির কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা কথা ছড়ালেও এখনও ‘কংক্রিট’ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ হত্যাকাণ্ডে বুশরা জড়িত বলছি না, মাদকের কারণে খুন তাও বলছি না। ‘কংক্রিট’ তথ্য পেতে কাজ চলছে।
শনিবার আলোচিত এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন।
গত ৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ফারদিনের লাশ ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়।
ফারদিনকে সর্বশেষ দেখেছিলেন তার বন্ধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমাতুল্লাহ বুশরা। ৪ নভেম্বর রাতে রামপুরায় বুশরার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি।
ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা ছেলের খুনের জন্য বুশরাকে আসামি করে মামলা করার পর তাকে গ্রেপ্তার করে এখন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি।
বুশরাকে জিজ্ঞাসাবাদে কোনো নতুন তথ্য মিলেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, তার (ফারদিনের) বাবা মামলা রুজু করেছেন। সেই মামলার আসামি করা হয়েছে তারই এক ফ্রেন্ডকে। তাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। কিন্তু আমরা এটা বলছি না, তার বাবা যার নামে মামলা করেছে, সে এর জন্য দায়ী। যেহেতু মামলায় তার নাম এসেছে, রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে আমরা কথা বলছি।
এদিকে একাধিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মাদক কিনতে ডেমরার চনপাড়ায় গিয়ে মাদক কারবারিদের পিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে ফারদিনের; যদিও তার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের দাবি, ফারদিন কখনও মাদকাসক্ত ছিলেন না।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাদকের সম্পৃক্ততার বিষয়ে ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, ডিবির পক্ষ থেকে আমরা কখনোই বলিনি, সে চনপাড়া গিয়ে মাদকের কারণে খুন হয়েছে। আমরা প্রকৃত ঘটনা এখনও বের করতে পারিনি।
ফারদিনের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত করে চিকিৎসকরা হত্যার আলামত পাওয়ার কথা জানান। তবে তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, ঘড়ি সব লাশের সঙ্গেই পাওয়া গিয়েছিল।
ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, সে (ফারদিন) ঢাকার শহরে যেখানে যেখানে গিয়েছে, আমরা টেকনিক্যালি সবকিছু বের করেছি। মোবাইলের লোকেশন বা বিভিন্ন জায়গায় যে কথা বলেছে, সবকিছু মিলে আমার মনে হয়েছে, ঢাকার শহরের কোনো একটা জায়গায় সে খুন হয়েছে।
তিনি বলেন, এটা সুরাহা করতে বিভিন্ন দিক থেকে চেষ্টা করছি, বিভিন্ন বিষয় আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করছি। ডিবির বিভিন্ন টিম রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। শিগগিরই আমরা একটা সুরাহা পাব।
গত সোমবার নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ফারদিন নূরের লাশ উদ্ধার করে। ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা একজন সাংবাদিক। তিনি দ্য রিভারাইন নামে ব্যবসাবিষয়ক একটি নিউজ পোর্টালের সম্পাদক। মা সাহারা খাতুন গৃহিণী। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলায়।
শুক্রবার রাত থেকে ফারদিন নূরের খোঁজ মিলছিল না। সেদিন রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন।
ফারদিনের মা ফারহানা ইয়াসমিন জানান, ক্যাম্পাসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে শুক্রবার দুপুরে বাসা থেকে বের হয়েছিল ফারদিন। পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরবে বলে জানিয়েছিল। এর পর শুক্রবার রাত ১১টার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় আর যোগাযোগ হয়নি।
Posted ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
nykagoj.com | Stuff Reporter