সোমবার ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ছদ্মবেশে ১০ বছর পালিয়ে ছিলেন ‘গাংচিল বাহিনীর’ একাংশের প্রধান লেদু

অপরাধ ডেস্ক   |   শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   124 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

ছদ্মবেশে ১০ বছর পালিয়ে ছিলেন ‘গাংচিল বাহিনীর’ একাংশের প্রধান লেদু

সংগৃহীত ছবি

-সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরা থেকে ‘গাংচিল বাহিনীর’ একাংশের প্রধান রুহুল আমিন ওরফে লেদুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরার হাউজবিল্ডিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও পাঁচটি ডাকাতি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি গত ১০ বছর ছদ্মবেশে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৪ জানায়, ২০০০ সাল থেকে সাভারের আমিন বাজার ও আশেপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে উত্থান হয় গাংচিল বাহিনীর। এর প্রধান ছিলেন আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। সাভারের পানিবেষ্টিত এলাকাকে আস্তানা বানিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোয় এই বাহিনীর নাম হয় গাংচিল বাহিনী। তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে ব্যাপক পরিসরে একক আধিপত্য বিস্তার করে এই বাহিনী। আনোয়ার হোসেন নিহতের পর গাংচিল বাহিনী কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গেলে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিতে শুরু করে লেদু। তার নেতৃত্বে এ গ্রুপের সদস্যরা আমিন বাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, হত্যার মতো অপরাধে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ২০১২ সালে শাহ আলী থানার বশির উদ্দীন বসু হত্যা মামলায় আদালত লেদুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

র‌্যাব জানায়, বশির হত্যাকাণ্ডের পরপরই আত্মগোপনে চলে যায় লেদু। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি ছদ্মবেশে গাজীপুর, উত্তরা, টঙ্গী, বাড্ডা, রামপুরা ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিলেন। সর্বশেষ র‌্যাব-৪ এর একটি দল উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

Facebook Comments Box

Posted ১:১৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com