
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট | 204 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
জনপ্রিয় অভিনয় ও সংগীত শিল্পী তাহসান থিতু গাড়ছেন নিউইয়র্কেই। নতুন বউকে নিয়ে ছন্দের মুগ্ধতায় কাটবে বাকিটা জীবন। ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমুক দেয়া সেই নায়িকা রোজাকে নিয়ে। মিথিলাকে নিয়ে জীবনের অংশটি রয়েই যাবে মিথ্যে ও ‘মিথের’ বেড়াজালে। তাহসান ও রোজা আহমেদ উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীনকার্ডধারী। তাদের ঘনিষ্ঠজনদের ধারণা যুক্তরাষ্ট্রই তাদের শেষ ঠিকানা।
বিয়ে বা বাগদান নিয়ে বিস্তারিত কিছু না বললেও বধূ সাজে রোজার সঙ্গে ছবি প্রকাশ করে তাহসান ভক্তদের জানান দিয়েছেন যে ঘটনা সত্য। রোজার আঁচলে বাঁধা পড়ছেন তিনি।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, রোজা আহমেদ নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর পড়াশোনা করছেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা। পড়াশোনা শেষ করে তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স নেন। পরে নিউইয়র্কের কুইন্সে ‘রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। রোজা আহমেদ প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।
এদিকে ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট তাহসান খান ও অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলাকে বিয়ে করেন। ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই তাদের ঘর আলোকিত করে আসে আইরা তাহরিম খান নামে এক কন্যাসন্তান।
হঠাৎ ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর তাহসান ও মিথিলা যৌথভাবে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।
তাহসানের শ্বশুর কি পানামা ফারুক?
তবে তাহসানের হবু স্ত্রী রোজা আহমেদের বাবা তাহসানের হবু শ্বশুরের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নেটিজেনদের মধ্যে।
নেটিজেনরা বলছেন, রোজার বাবা বরিশাল নগরীর বাসিন্দা ফারুক আহম্মেদ ওরফে পানামা ফারুক। যিনি ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৩ সাল থেকে ফারুক আহম্মেদ ওরফে পানামা ফারুক বরিশাল যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এলে দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে পানামা ফারুক এক আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়ায়। তবে ২০০১ সালের পর দীর্ঘ ৫ বছর পানামা ফারুক আত্মগোপনে ছিলেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেও তাকে তেমন সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। তবে ২০১৩ সালের দিকে নিজের অবস্থান জানান দিতে গিয়ে আবার আলোচনায় আসেন পানামা ফারুক।
তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছিল, ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বরিশাল নগরীর চকবাজার এলাকায় চেকপোস্ট বসান র্যাবের সদস্যরা। ভোর সোয়া ৬টার দিকে ওই এলাকা দিয়ে ৬/৭ জনের একটি দল যাচ্ছিল। তাদের থামতে বললে তারা উল্টো দিকে ঘুরে চলে যেতে থাকে। র্যাবের ডিএডি নাজির আহম্মেদ তাদের থামার নির্দেশ দিলেও তারা থামেনি। একপর্যায়ে তারা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এতে নাজির আহম্মেদ আহত হন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। দুপক্ষের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ফারুক আহম্মেদ।
Posted ৮:৪২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫
nykagoj.com | Monwarul Islam