নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 217 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
শো টাইম মিউজিক নিউইয়র্ক তথা গোটা আমেরিকায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে অতি পরিচিত একটি নাম। বিশেষ করে নিউইয়র্কে শো টাইম মিউজিকের নাম জানেন না এমন বাংলাদেশির সংখ্যা খুবই কম। প্রতি সপ্তাহে কিংবা প্রতি মাসে এ সংগঠনের নামে কুইন্স প্যালেস, গুলশান ট্যারেসে, বিভিন্ন হোটেল বা হলে অনুষ্ঠান হচ্ছে। কখনো সাংস্কৃতিক, কখনো গানের জলসা, কখনো পিঠা উৎসব, কখনো হুমায়ূন মেলা, কখনো ঢালিউড এওয়ার্ড বা বাংলাদেশ সম্মেলনের নামে।
প্রবাসের কমিউনিটি লিডার(!), ভূঁইফোর ব্যবসায়ী বা পেট্রোনাইজাররা দিল দরিয়া নিয়ে এ সব অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করছেন। অ্যাওয়ার্ড বা পদক নিচ্ছেন বা দিচ্ছেন। তা আবার কোন নর্তকী কিংবা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত সন্মানিত শিল্পীর হাতে। ছবি তুলছেন। ফেসবুকে পোষ্টও করছেন। তারা কি জানেন শো টাইম মিউজিক একটি আইন বর্হিভূত সংগঠন?
এ রিপোর্ট লেখার উদ্দেশ্য কাউকে ঘায়েল করা নয়। অনুসন্ধানে একটি অসংগতি বেরিয়ে এসেছে। তা তুলে ধরাই লক্ষ্য। শো টাইম মিউজিক কি? মালিকানা কার? এটি কি নিউইয়র্ক স্টেট কিংবা আইআরএস এর তালিকাভূক্ত একটি প্রতিষ্ঠান? প্রতিবেদক স্টেট ও ফেডারেল পর্যায়ে অনুসন্ধান করে ‘শো টাইম মিউজিক’ সম্পর্কে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তার কিছু অংশ এনওয়াইকাগজ.কম পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।
‘শো টাইম মিউজিক এন্ড প্লে ইনক’ ১৯৯৮ সালে নিউইয়র্কের সানিসাইডস্থ বাংলাদেশি আকা’র নামে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ডিভিশন অব করপোরেশনে ‘ডমেস্টেক বিজনেস করপোরেশন’ হিসেবে তালিকাভূক্ত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিষ্ঠান স্টেটের সাথে যোগাযোগ রাখেনি। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাৎসরিক ট্যাক্স দাখিল ও আয় ব্যয়ের হিসাবের ধারে কাছেও নেই। এমতাবস্থায় ২০১০ সালে স্টেট ‘শো টাইম মিউজিক এন্ড প্লে ইনক’ কে “ইনএকটিভ” প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা দেয়। আইন বর্হিভূত এই প্রতিষ্টানটি চালাচ্ছেন নিজেকে কখনো সিইও বা প্রেসিডেন্ট পরিচয় দিয়ে এক বাংলাদেশি। করছেন ভূয়া প্রতিষ্ঠানের নামে লাখ লাখ ডলারের ব্যবসা।
প্রশ্নটি হচ্ছে ‘শো টাইম মিউজিক এন্ড প্লে ইনক’ কার মালিকানায়? আইন বর্হিভূত এই প্রতিষ্টানের সিইও হিসেবে কমিউনিটিতে কাজ করছেন কে? দায়বদ্ধতা কার? ‘ইনএকটিভ’ সংগঠন প্রশ্নে মার্কিন এটর্নি অ্যালেক্স উমেন প্রতেবেদককে বলেন, অবশ্যই আইন বর্হিভূত সংগঠন। এ সংগঠনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালানোর আইনগত ভিত্তি নেই। তবে ‘শো টাইম মিউজিক এন্ড প্লে ইনক’ গত ২৪ বছরের আয় ব্যয়ের হিসেব দাখিল, স্টেট ও ফেডারেল ট্যাক্স দাখিল করে ‘সক্রিয়’ হতে পারে। তবে বিষয়টি ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের এখতিয়ারভূক্ত। তবে তা ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সের নজরে আসলে তা কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দিতে হবে।
Posted ৮:৪৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam