ব্রঙ্কসের খলিল বিরিয়ানি হাউস আবার নতুন করে সাজছে।বলা যায় চেনা স্বাদে তবে নতুন সাজে।নিউইয়র্কের বাংগালী মালিকানায় সবচেয়ে সুপরিসর জায়গা নিয়ে করা খলিল বিরিয়ানি হাউস গ্রাহকদের কাছে আরো মনের মত করে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।নান্দনিক সাজে শুরু হয়েছে ইনডোর ডেকোরেশন।ভেতরে দুই পাশে বক্স করে বসার জন্য নান্দনিক সোফা সেট থাকবে।বক্সের বাইরের দিকে থাকবে কারুকার্যখচিত ডেকোরেশন টাইলস।যারা ফ্যামিলি নিয়ে খাওয়া দাওয়া করার জন্য একটু নিরিবিলি বা প্রাইভেসী চান তাদের জন্য এটা হবে একটা আদর্শ।
প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী,প্রেসিডেন্ট বাইডেন অ্যাওয়ার্ড এবং ব্রিটিশ কারী এ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত,কুলিনারী ডিপ্লোমাধারী শেফ খলিলুর রহমান জানান-আমার গ্রাহকরাই আমার প্রতিষ্ঠানের প্রাণ।তাদের চাহিদা আমার কাছে অগ্রাধিকার।আমি চাই সকল শ্রেণীর গ্রাহক আমার এখানে স্বাচ্ছন্দে খাওয়া দাওয়া করুক।সে জন্যই খরচের কথা বিবেচনা না করে আমি ভেতরে আরো নতুন কিছু কাজ করাচ্ছি।আমার বিশ্বাস কাজ শেষ হলে আমার প্রতিষ্ঠানের মান সম্পন্ন খাবার উপভোগের পাশাপাশি রেস্টুরেন্টের ভেতরে ইনডোর ডেকোরেশনের নান্দনিকতাও উপভোগ করবেন তাঁরা।
তিনি আরো বলেন,খলিল বিরিয়ানি হাউস এখন ওয়ান স্টপ ফুড কোর্ট।এক ছাদের নীচে বসে আমার সম্মানিত গ্রাহকরা চাইনিজ,বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী নানা মুখরোচক খাবার দাবার সহ,ফুচকা,চটপটি.বাবল টি,নানা ধরনের কাবাব,চিকেন -লাম্ব শর্মা সহ নিজস্ব ফ্যাক্টরীর তৈরি ফ্রেশ মিস্টান্নের স্বাদ গ্রহন করতে পারবেন।
খলিল বলেন,আমারা শুরু থেকেই ভিন্ন পথে হাঁটছি।অনেকেই যেখানে বাংলাদেশী খাবারকে ইন্ডিয়ান ফুড বলে পরিচিত করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন সেখানে শুরু থেকেই আমি বাংলাদেশী খাবারকে বাংলাদেশী খাবার হিসাবেই স্বদেশী এবং বিদেশীদের কাছে তুলা ধরার প্রয়াস চালিয়েছি।আপনারা শুনে খুশী হবেন আমার সে প্রচেস্টা এখন বলা যায় শত ভাগ সাফল্যের মুখ দেখেছে।প্রবাসে বেড়াতে আসা বাংলাদেশী সেলিব্রেটিরাই শুধু নয় এখন বিদেশী অনেক দূতাবাসের পছন্দের খাবারের তালিকায় উঠে উঠে এসেছে বাংলাদেশী খাবারের নাম।আর আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলছি আমাদের মান সম্মত খাবার,আমার এবং আমার দক্ষ কর্মী বাহিনীর নিরলস শ্রম খলিল বিরিয়ানী হাউসকে এই উচ্চতায় নিঁযে আসার ব্যাপারে সহায়তা করেছে।
শেফ খলিল বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ উপভোগ করার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।