সারাদেশ ডেস্ক | রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 78 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক মারজান আক্তারকে হেনস্তার ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন থেকে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনার জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তিনদিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ মানববন্ধন পালিত হয়। সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস) মানবন্ধনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাংবাদিক স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং নানা সমস্যা ও অনিয়মগুলো তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু ক্যাম্পাসের একজন নারী সাংবাদিক যদি তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়, এটা পুরো বাংলাদেশের সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমি প্রশাসনের নিকট দাবি জানাব, এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে যেন সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।
চবি সাংবাদিকতা বিভাগের উপস্থিত স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থী মারজান আক্তারকে তার পেশাগত দায়িত্বপালনকালে ‘তোর নিরাপত্তা কে দেয় দেখব’ মর্মে হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকিদাতারা এখনও ক্যাম্পাসেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।
চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা ক্যাম্পাসের প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সঙ্গী সাংবাদিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনার গল্পের পাশাপাশি সব অনিয়ম ও দুর্নীতির খবরও সাংবাদিকদের কলমে উঠে আসে। সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করা মানে ক্যাম্পাসের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর টুটি চেপে ধরা। আমরা আজকের এই আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছি এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ মানববন্ধনে সাংবাদিকতা বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভাগের সভাপতি রওশন আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা করিম, সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শহীদুল হক, সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক খন্দকার আলী আর রাজী, সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম, সহকারী অধ্যাপক রাজীব নন্দী অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারি চবির চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কর্তৃক হেনস্তার শিকার হন দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক মারজান আক্তার। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় তাকে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে চায় ছাত্রলীগের ভিএক্স ও বাংলার মুখ গ্রুপের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া এ ঘটনায় চবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মারুফ ইসলামকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
Posted ২:৪৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter