নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০২ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট | 503 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
নিউইয়র্ক সিটি দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক সেলিম রেজাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিঠি লিখলেন। জানালেন আমেরিকার জাতীয় স্বার্থ,গ্লে¦াবাল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও বিশ্বব্যাপী গনতন্ত্রকে রক্ষা ও গনতান্ত্রিক মূল্যবোধকে উর্ধ্বে তুলে ধরতে তার প্রশাসনের ভুমিকার কথা। এতে বলা হয়, এই স্ট্রেটিজিক পরিকল্পনায় বিশ্বের ভবিষৎ নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, আমেকিার নেতৃত্ব বিশ্ব দরবারে গনতন্ত্রকে তুলে ধরতে কাজ করছে। একই সাথে আমাদের মৌলিক নীতি স্বাধীনতা ও গনতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে পার্টনারদের সাথেও কাজ করছি। চিঠিতে ইউক্রেন, ইরাক ও ইরান ইস্যুও তুলে ধরা হয।
মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে বিএনপি পন্থী ১০১ জন নাগরিকের লেখা চিঠির উত্তর দিতে গিয়েই প্রেসিডেন্ট বাইডেন সেলিম রেজাকে এ চিঠি দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে লেখা চিঠির ১ নম্বর স্বাক্ষরদাতা ছিলেন সেলিম রেজা।
এই সেই চিঠি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বরাবর চিঠি দিয়েছেন ১০১ জন বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারত অনুরোধ করতে পারে চিঠিতে এমন ধারণা উল্লেখ করে তারা লিখেছেন, ভারত এমন কোনো অনুরোধ করলে বাইডেন যেন তা প্রত্যাখ্যান করেন।
রোববার হোয়াইট হাউজের ঠিকানায় পাঠানো বাংলাদেশি বংশোদভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ঐ চিঠির শিরোনাম ‘মি. প্রেসিডেন্ট; অনুগ্রহ করে বাংলাদেশের স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে সহযোগিতা করতে নরেন্দ্র মোদির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করুন’।
চিঠিতে বলা হয়-বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রতি বিপুল জনসমর্থন সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে চীন কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রবলভাবে এগিয়ে এসেছে। আমেরিকার কঠোর সমালোচনা করে চীন ঘোষণা করেছে যে, তারা স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সাহায্য করতে এখনই প্রস্তুত। এছাড়া চীন বলছে ‘বাংলাদেশ তার নিজস্ব বাস্তবতায় পথ ঠিক করবে’।
চীনের এই বক্তব্য ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্বৈরশাসককে ক্ষমতায় রাখার একটি ধূর্ত কৌশল।
চিঠিটিতে আরো বলা হয় ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ভারতের বিশেষ প্রভাব ছিল। এই সময়ে চীন প্রভাব বিস্তার করেছে যা ভারত রোধ করতে পারেনি যা গণতন্ত্রের জন্য মোটেই ভালো ফল বয়ে আনেনি। পাশাপাশি ভারত বার্মার সামরিক জান্তাকেও সহযোগিতা করে যাচ্ছে। জান্তার নির্মম গণহত্যার শিকার হয়ে প্রায় দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
চিঠির শেষদিকে প্রেরকরা বলেন, মি. নরেন্দ্র মোদি যখন ওয়াশিংটন সফর করছেন; তখন ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে সুপারিশ করার ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। মি. মোদির এই অনুরোধ বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন যদি মোদির এই অনুরোধে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের উপর থেকে সৃষ্ট চাপ থেকে বিরত থাকেন; তাহলে তা পুরো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মানুষের কাছে একটি ভুল বার্তা দেবে।
সেই বার্তাটি হল যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সুরক্ষার ব্যাপারে আন্তরিক নয়; আর এই বার্তাটি চীনের অবস্থানকে প্রবলভাবে সমর্থন জানাবে।
Posted ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০২ জুলাই ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam