
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ | প্রিন্ট | 172 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
কমিউনিটির পরিচিত মুখ মাকসুদ এইচ চৌধুরী ও মোক্তাদির বিল্লাহ প্রিসিংকটে আটক ও পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। নিউইয়র্কে ব্রুকলিনস্থ চট্রগ্রাম সমিতির অফিসে তালা ভেংগে প্রবেশ ও পুলিশী অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার ৩০ এপ্রিল মাকসুদ সহ বিল্লাহ ও হারুন আটক হন। বৃহস্পতিবার তারা কোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।
চট্রগ্রাম সমিতির নির্বাচনী ফলাফলকে কেন্দ্র করে তাহের— আরিফ প্যানেলের সর্মথকদের সাথে মাকসুদ — মাসুদ সিরাজীদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। নির্বাচন কমিশন তাহের ও আরিফকে চূড়ান্ত ফলাফলে বিজয়ী ঘোষণা করলে এ বিরোধ চরম আকার ধারন করে। মাকসুদ ও মাসুদ প্যানেল এ ফলাফল প্রত্যাখান করে। পরবর্তীতে চট্রগ্রাম সমিতির অফিসে প্রবেশকে কেন্দ্র করে তা পুলিশী অভিযোগ পর্যন্ত গড়ায়। সভাপতি আবু তাহের ও সাধারন সম্পাদক আরিফ সমিতির অফিসের তালা ভাঙ্গা, ট্রাসপাসিং সহ নানা অভিযোগ আনেন মাকসুদদের বিরুদ্ধে। পুলিশ ভবনের ক্যামেরা ফুটেজ দেখে গত ১৮ মার্চ সাবেক সভাপতি আহসান হাবিবকে গ্রেফতার করে। একই অভিযোগে জড়িত বিবাদী মাকসুদ, বিল্লাহ ও হারুন বুধবার ৩০ এপ্রিল ব্রুকলিনের ৬৬ প্রিসিংকটে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে। বৃহস্পতিবার কোর্ট থেকে তারা জামিনে ছাড়া পান।
এ ব্যাপারে চটগ্রাম সমিতির গত নির্বাচনে সভাপতি পদ প্রার্থী মাকসুদ এইচ চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, একটি মিথ্যা অভিযোগ এনে তাহের ও আরিফরা মামলা দায়ের করেছে। আমিই জনগনের ভোটে নির্বাচিত সভাপতি। ওরা ড্রাগ, তালা ভাঙ্গা সহ নানা অভিযোগ এনে আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করেছে। অভিযোগগুলো মিথ্যা। আমরা প্রিসিংকটে গিয়েছিলাম। তারা আমাদের আটক করেছিল। বৃহস্পতিার জামিনে বেরিয়ে এসেছি। এ মিথ্যা মামলা ও অভিযোগের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো। আদালতের রায় আমাদের পক্ষে আসবে ইনশাল্লাহ। সমিতির সভাপতি তাহের ও আরিফ বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবেদককে বলেন, তারা অফিসের তালা ভেংগে ভিতরে প্রবেশ করেছিল। তাদের অনেকের মুখে মাস্ক পড়া ছিল। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করেছে ও ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের সার্টিফাইড ফলাফল নিয়ে চট্রগ্রাম সমিতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। তারা সংগঠনের অফিসের তালা ভেংগে সভা করতে পারেন না। চট্রগ্রামবাসীর সম্পদ নষ্ট করার অধিকার তাদের নেই। আমরা মামলা করিনি। ঘটনার জন্য পুলিশকে রিপোর্ট করেছিলাম মাত্র।
চট্রগ্রাম সমিতির সবোর্চ্চ ভোটে নির্বাচিত সহ সভাপতি মোহাম্মদ বিল্লাহ। তিনি প্রতিবেদকের কাছে গ্রেফতার হবার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, এই চট্রগ্রাম সমিতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। অবশেষে তারা আমাদের বিরুদ্ধে ড্রাগের অভিযোগ আনলো। এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তারা কিভাবে করলো? আমাদের একটা সামাজিক মর্যাদা আছে। মানুষের জন্য কাজ করি। এ জন্যই কি হেয় করতে হবে? দু:খজনক। জামিন নিয়েছি। আদালতেই ফয়সালা হবে।
Posted ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
nykagoj.com | Monwarul Islam