
অপরাধ ডেস্ক | মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 135 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
মুকুল হোসেন ওরফে মকবুল আহমেদ। নিজেকে পরিচয় দেয় নারায়ণগঞ্জের পত্রিকা দৈনিক মাতৃভূমির খবরের ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে। কখনও সাজে গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এসব পরিচয়ের আড়ালে মূলত সে চালায় মাদকের কারবার। কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাইভেটকারে গাঁজার চালান এনে তিন সহযোগীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিল সে। তার প্রধান সহযোগী মো. ফয়সাল বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক। ছুটির দিনে বা অবসর সময়ে সুযোগ বুঝে সে গাড়িটি ব্যবহার করে মাদক পরিবহন করে আসছিল।
মাদক কারবারে জড়িত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর আজ মঙ্গলবার এসব তথ্য জানায় র্যাব-৩। গ্রেপ্তার অপর দুইজন হলো- আবদুল শাহীন ওরফে নোমান হোসেন ও আল-আমিন হোসেন। সোমবার রাতে রাজধানীর বংশাল এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি প্রাইভেটকারের পেছনের ডালা থেকে বিশেষ কায়দায় লুকানো তিনটি ব্যাগভর্তি ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে আজ দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে র্যাব-৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদক চক্রের হোতা মুকুল ২৫ বছর বিভিন্ন পরিবহনের চালক হিসেবে কাজ করেছে। অবৈধ পথে প্রচুর অর্থ উপার্জনের আশায় ২০১৬ সালে সে মাদক কারবারে জড়িত হয়। বিভিন্ন পরিবহনে চাকরি হলেও মাদক সম্পৃক্ততার কারণে সে বারবার চাকরিচ্যুত হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের জুন থেকে সে নতুন কৌশল অবলম্বন করে। দৈনিক মাতৃভূমির খবরে গাড়িচালক হিসেবে কাজ নেয়। এতে সে ‘সাংবাদিক’ স্টিকার ব্যবহার করে সহজেই মাদক চোরাচালান চালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু অপকর্মের বিষয়ে জানতে পেরে দুই মাস আগে তাকে চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ। এ সময় সে গোপনে পত্রিকাটির লোগো সম্বলিত একটি মাইক্রোফোন নিয়ে আসে। সেটি ব্যবহার করে নিজেকে সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয় দিয়ে মাদক বহনকারী গাড়ি চালিয়ে আসছিল। এ ছাড়াও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সে মাদক বিক্রির একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তার নামে ২০০৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে হত্যা মামলাসহ একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তাকে কারাগারেও থাকতে হয়েছে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল একজন ব্যাংক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক। সে গাড়ির মালিকের ব্যবহৃত ‘আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট’ স্টিকার লাগানো গাড়ি ব্যবহার করে নিয়মিত বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আনা-নেওয়া করে আসছিল।
Posted ১:৪০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
nykagoj.com | Stuff Reporter