খেলাধূলা ডেস্ক | মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট | 74 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
বাধ দিয়ে বন্যা আটকানোর দশা হয়েছে। শুরুতে রান আটকে রাখা গেলেও বাধ ভাঙতেই দক্ষিণ আফ্রিকার রান বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি ককের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি ও হেনরিক ক্লাসেনের ঝড়ে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রান তুলেছে তারা।
মুম্বাইয়ে ওয়াংখেড়ের উইকেট শুধু ব্যাটিং সহায়ক নয় মাঠও ছোট। শুরুতে ব্যাট করা দল বরাবর সুবিধা পায়। পরে ব্যাট করা কঠিনও হয়। বাংলাদেশ দল তাই টস ভাগ্যের দিকে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু তা সাকিবের পক্ষে আসেনি। টস হেরে বল করতে নেমে ৩৬ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই উইকেট তুলে নেন পেসার শরিফুল ও স্পিনার মেহেদী মিরাজ। ওপেনার রেজা হেনড্রিকস (১২) ও রেসি ফন ডার ডুসেন (১) ব্যর্থ হয়ে ফেরেন।
ওই ধাক্কা দারুণ দক্ষতায় সামলে নেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও চারে নামা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। তারা ১৩১ রানের জুটি গড়েন। মার্করাম ৬৯ বলে সাতটি চারের শটে ৬০ রান করলে ওই জুটি ভাঙে। সাকিবের বল শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। পরে ডি কক ও হেনরিক ক্লাসেন ১৪২ রানের জুটি দলকে বিশাল রানের পথে তুলে নেন।
ওপেনার ডি কক সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আগে খেলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা ১৭৪ রানের ইনিংস। ১৪০ বল খেলে ১৫টি চার ও সাতটি ছক্কায় ওই রান তোলেন ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে বিশ্বকাপে আসা এই বাঁ-হাতি ওপেনার। শেষে ঝড় তোলা ক্লাসেন ৪৯ বলে ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আউট হন। তিনি আটটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। এছাড়া ডেভিড মিলার ১৫ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৪ রান তোলেন।
বাংলাদেশের দুই বাঁ-হাতি পেসার ৯ ওভার করে হাত ঘুরিয়ে ৭৬ করে রান দিয়েছেন। হাসান মাহমুদ ৬ ওভারে ৬৭ রান খেয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। সাকিব ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৬৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন। নতুন বল হাতে নেওয়া মেহেদী মিরাজ ৯ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট। নাসুম ৫ ওভারে ২৭ রান দিয়ে থাকেন উইকেট শূন্য। ৩ ওভার হাত ঘুরানো মাহমুদউল্লাহও ব্রেক থ্রু দিতে পারেননি।
Posted ১:০০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter