শনিবার ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলা সিডিপ্যাপ এন্ড অ্যালেগ্রা বাংলা মেলা অনুষ্ঠিত

ব্রংকসে বাংলাদেশিদের ঐক্যের অনুপম দৃষ্টান্ত গড়ে উঠেছে : ড. স্যার আবু জাফর মাহমুদ

ডেস্ক রিপোর্ট   |   শুক্রবার, ১১ আগস্ট ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   143 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

ব্রংকসে বাংলাদেশিদের ঐক্যের অনুপম দৃষ্টান্ত গড়ে উঠেছে : ড. স্যার আবু জাফর মাহমুদ

বাংলাদেশিদের বিপুল উপস্থিতি দেখে মুগ্ধ হয়েছি : এরিক এডামস্

গ্লোবাল পিস অ্যামব্যাসেডর ড. স্যার আবু জাফর মাহমুদ বলেছেন, দেশপ্রেম ছাড়া মানুষের নিজস্ব কোনো সৌন্দর্য নেই। দেশপ্রেমের শিক্ষা থেকেই আমাদের জাতিগত নিজস্বতা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। গত ৬ অগাস্ট ব্রংকস এর ওয়াটারবেরী এভিনিউতে বাংলাদেশি আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন ইনক্ আয়োজিত বাংলা সিডিপ্যাপ এন্ড অ্যালেগ্রা বাংলা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। স্যার আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ব্রংকসে বাংলাদেশিদের অসাধারণ ঐক্যের দৃষ্টান্ত গড়ে উঠেছে।

স্মরণকালের বর্ণাঢ্য এই মেলায় উপস্থিত হন নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামস। মেয়র তার বক্তব্যে সফল মেলা আয়োজন এবং বিপুল মানুষের সমাবেশ ঘটানোর জন্য আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশী আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান এবং আগামীতে সংগঠনের সাথে যেকোন কার্যক্রমে যুক্ত থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ব্রঙ্কস ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী ডেরেস ক্লার্ক ব্রঙ্কসে সুন্দর ও সফল মেলা আয়োজনের জন্যে বাকা’র প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সংগঠনের বিদায়ী সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আশরাফুল হাসান বুলবুলের উপস্থাপনায় আয়োজনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল হাসিম হাসনু । বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সভাপতি আবু তাহের, নিউইয়র্ক সিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশার, কমিউনিটি বোর্ড নাইনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এন মজুমদার, ডিটেকটিভ পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ রহমান, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, বাংলা বাজার বিজনেস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, সংগঠনের নব নির্বাচিত সভাপতি সারওয়ার চৌধুরী ,সহ সভাপতি মাকসুদা আহমেদ, নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শাহ বদরুজ্জামান রুহেল, মেলা কমিটির আহবায়ক ও সংগঠনের সহ সভাপতি আহমদ ফয়সল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমডি আলা উদ্দিন, মেলা কমিটির সদস্য সচিব ও সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, স্কুল শিক্ষা ও সমাজসেবা সম্পাদক ও মেলা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব সালমা সুমী, প্রচার ও গণসংযোগ সম্পাদক লিয়াকত আলী, আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক আব্দুর রহমান দুলাল, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট হাসান আলী, আব্দুর রহিম বাদশা, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ কামরান, রেজা আব্দুল্লাহ।

মেয়র এরিক এডামস প্রায় দশ হাজার মানুষের আড়ম্বরপূর্ণ মেলায় উপস্থিত হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক শহরের অনেক জায়গাতেই বাংলাদেশি কমিউনিটির উপস্থিতি দেখেছি, কিন্তু ব্রুকলিনে বাংলাদেশি কমিউনিটির এই বিপুল উপস্থিতি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক এক অসাধারণ শহর। আমাদের আছে বিপুল সংখ্যক অসাধারণ মানুষ আর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র। এই শহরের অন্যতম বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কমিউনিটি হচ্ছে বাংলাদেশি কমিউনিটি। আমার খুব ভালো লাগে বাংলাদেশি কমিউনিটি ব্যবসা, পরিবার, মানুষের নিরাপত্তার ব্যাপারে অনেক বেশি যতœশীল। বাংলাদেশি কমিউনিটির ধর্মবিশ্বাসও দৃষ্টান্তমূলক। মেয়র বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটি নিউ ইয়র্ক শহরের পুলিশ বিভাগ থেকে শুরু করে সরকারি সকল সেবা কার্যক্রমে ব্যবস্থার অন্যতম সহায়ক। মেয়র বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটির অগ্রগতিগুলো কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাই। এই ব্রংকসে এসে বাংলাদেশের এক ঝাঁক মানুষের সঙ্গে আমার সাক্ষাতের সুযোগ হলো। একই রকম বাংলাদেশিদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়, কুইন্স থেকে শুরু করে অন্যান্য শহরেও। সবাই একসঙ্গে আমরা পৃথিবীর বিখ্যাত ও মহৎ শহর নিউইয়র্ককে গড়ে তুলছি।

নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি সমাজের প্রথম হোম কেয়ার বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসেস অ্যালেগ্রা হোম কেয়ার ইনক্ এর প্রেসিডেন্ট এন্ড সিইও, পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেস ও আবু জাফর মাহমুদ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. স্যার আবু জাফর মাহমুদ তার ভার্চুয়াল বক্তব্যে বলেন, নিউইয়র্কে আমাদের দুটি পরিচয়। এক আমরা বাংলাদেশি। আরেকটি পরিচয় হচ্ছে আমরা বাংলাদেশি আমেরিকান। এই মেলা শুধু বিনোদনের নয়। এই মেলা আমাদের বাংলাদেশিদের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন অনেক দৃঢ় করতে পারে। এই মেলা আমাদের তুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে পারে অনেকগুলি অনুসরনীয় দৃষ্টান্ত।

আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ১৭ বছর আগে আমিই বাঙালি সমাজে হোম কেয়ার শব্দটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। এটি আমার গর্বের বিষয়। আমার এই উদ্যোগের পেছনে মূল যে শিক্ষাটি কাজ করেছে সেটি আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমি বিশ্বাস করি, জন্মের পর আমি প্রতিবেশি ও পরিবারের কাছ থেকে যে যতœ ও সেবা পেয়েছি সেটির কোনো তুলনা নেই। সেবার কোনো বিনিময় হয় না। সেটিই আমার প্রাকৃতিক প্রাপ্তি। সেবা যখন বাণিজ্য হয়ে যায়, তখন আর সেখানে মনুষ্যত্ব বলে কিছু থাকে না। আমরা যে ভালোবাসাভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন দেখি, সেখানে ভালোবাসা ও আন্তরিকতার বন্ধন বাড়াতে হবে। এই বিশ্বাস নিয়েই আমরা আমেরিকান। কিন্তু আমরা অন্য আমেরিকানদের মতো হারিয়ে যেতে চাই না। যেই স্রোত আমাদের নয়, সেই স্রোতে আমরা হারিয়ে যেতে চাই না।

আবু জাফর মাহমুদ বলেন, প্রতি মুহূর্তে আমরা যুদ্ধে আছি। এই যুদ্ধ হচ্ছে জীবন গড়ার। এই যুদ্ধ মানবতার। তিনি ব্রংকস এ বাংলাদেশী আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন ইনক্ এর মেলার আয়োজনকে বাংলাদেশি সাংস্কৃতির মেলা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের যা কিছু ভালো, আমাদের যা কিছু নিজস্বতা তা এই মেলার মাধ্যমে আমরা তুলে ধরছি। আমরা এই মেলার মাধ্যমে আমাদের ভালোবাসা, উদারতার মেলবন্ধন গড়ে তুলছি। আমরা আমাদের সম্পর্কের সম্প্রসারণ করছি। এর অংশ হিসেবেই আমরা বাংলা সিডিপ্যাপ ও অ্যালেগ্রা হোম কেয়ারের কাচারিঘর গড়ে তুলছি এই নিউইয়র্কের শহরে শহরে। ব্রংকসে মার্শাল এর শো রুমের পাশে আপনাদের কাচারিঘর গড়ে উঠছে। সেখানে আপনারা যাবেন, নিজেদের মধ্যে সম্প্রীতির অনুশীলন করবেন। এই কাচারিঘর হবে আপনাদের আপন ক্ষেত্র।

বাংলাদেশি আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন ইনক্ আয়োজিত বর্ণাঢ্য মেলায় বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন পণ্য সামগ্রির বহু সংখ্যক স্টল বসে। সকাল থেকে শুরু হওয়া মেলা বিকেল নাগাদ অগণন নারী পুরুষ শিশুর এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। মঞ্চে চলতে থাকে একের পর

বিপুল উপস্থিতি দেখে মুগ্ধ হয়েছি : এরিক এডামস্

গ্লোবাল পিস অ্যামব্যাসেডর ড. স্যার আবু জাফর মাহমুদ বলেছেন, দেশপ্রেম ছাড়া মানুষের নিজস্ব কোনো সৌন্দর্য নেই। দেশপ্রেমের শিক্ষা থেকেই আমাদের জাতিগত নিজস্বতা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। গত ৬ অগাস্ট ব্রংকস এর ওয়াটারবেরী এভিনিউতে বাংলাদেশি আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন ইনক্ আয়োজিত বাংলা সিডিপ্যাপ এন্ড অ্যালেগ্রা বাংলা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। স্যার আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ব্রংকসে বাংলাদেশিদের অসাধারণ ঐক্যের দৃষ্টান্ত গড়ে উঠেছে।

স্মরণকালের বর্ণাঢ্য এই মেলায় উপস্থিত হন নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামস। মেয়র তার বক্তব্যে সফল মেলা আয়োজন এবং বিপুল মানুষের সমাবেশ ঘটানোর জন্য আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশী আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান এবং আগামীতে সংগঠনের সাথে যেকোন কার্যক্রমে যুক্ত থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ব্রঙ্কস ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী ডেরেস ক্লার্ক ব্রঙ্কসে সুন্দর ও সফল মেলা আয়োজনের জন্যে বাকা’র প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সংগঠনের বিদায়ী সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আশরাফুল হাসান বুলবুলের উপস্থাপনায় আয়োজনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল হাসিম হাসনু । বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সভাপতি আবু তাহের, নিউইয়র্ক সিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশার, কমিউনিটি বোর্ড নাইনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এন মজুমদার, ডিটেকটিভ পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ রহমান, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, বাংলা বাজার বিজনেস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, সংগঠনের নব নির্বাচিত সভাপতি সারওয়ার চৌধুরী ,সহ সভাপতি মাকসুদা আহমেদ, নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শাহ বদরুজ্জামান রুহেল, মেলা কমিটির আহবায়ক ও সংগঠনের সহ সভাপতি আহমদ ফয়সল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমডি আলা উদ্দিন, মেলা কমিটির সদস্য সচিব ও সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, স্কুল শিক্ষা ও সমাজসেবা সম্পাদক ও মেলা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব সালমা সুমী, প্রচার ও গণসংযোগ সম্পাদক লিয়াকত আলী, আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক আব্দুর রহমান দুলাল, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট হাসান আলী, আব্দুর রহিম বাদশা, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ কামরান, রেজা আব্দুল্লাহ।

মেয়র এরিক এডামস প্রায় দশ হাজার মানুষের আড়ম্বরপূর্ণ মেলায় উপস্থিত হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক শহরের অনেক জায়গাতেই বাংলাদেশি কমিউনিটির উপস্থিতি দেখেছি, কিন্তু ব্রুকলিনে বাংলাদেশি কমিউনিটির এই বিপুল উপস্থিতি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক এক অসাধারণ শহর। আমাদের আছে বিপুল সংখ্যক অসাধারণ মানুষ আর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র। এই শহরের অন্যতম বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কমিউনিটি হচ্ছে বাংলাদেশি কমিউনিটি। আমার খুব ভালো লাগে বাংলাদেশি কমিউনিটি ব্যবসা, পরিবার, মানুষের নিরাপত্তার ব্যাপারে অনেক বেশি যতœশীল। বাংলাদেশি কমিউনিটির ধর্মবিশ্বাসও দৃষ্টান্তমূলক। মেয়র বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটি নিউ ইয়র্ক শহরের পুলিশ বিভাগ থেকে শুরু করে সরকারি সকল সেবা কার্যক্রমে ব্যবস্থার অন্যতম সহায়ক। মেয়র বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটির অগ্রগতিগুলো কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাই। এই ব্রংকসে এসে বাংলাদেশের এক ঝাঁক মানুষের সঙ্গে আমার সাক্ষাতের সুযোগ হলো। একই রকম বাংলাদেশিদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়, কুইন্স থেকে শুরু করে অন্যান্য শহরেও। সবাই একসঙ্গে আমরা পৃথিবীর বিখ্যাত ও মহৎ শহর নিউইয়র্ককে গড়ে তুলছি।

নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি সমাজের প্রথম হোম কেয়ার বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসেস অ্যালেগ্রা হোম কেয়ার ইনক্ এর প্রেসিডেন্ট এন্ড সিইও, পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেস ও আবু জাফর মাহমুদ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. স্যার আবু জাফর মাহমুদ তার ভার্চুয়াল বক্তব্যে বলেন, নিউইয়র্কে আমাদের দুটি পরিচয়। এক আমরা বাংলাদেশি। আরেকটি পরিচয় হচ্ছে আমরা বাংলাদেশি আমেরিকান। এই মেলা শুধু বিনোদনের নয়। এই মেলা আমাদের বাংলাদেশিদের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন অনেক দৃঢ় করতে পারে। এই মেলা আমাদের তুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে পারে অনেকগুলি অনুসরনীয় দৃষ্টান্ত।

আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ১৭ বছর আগে আমিই বাঙালি সমাজে হোম কেয়ার শব্দটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। এটি আমার গর্বের বিষয়। আমার এই উদ্যোগের পেছনে মূল যে শিক্ষাটি কাজ করেছে সেটি আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমি বিশ্বাস করি, জন্মের পর আমি প্রতিবেশি ও পরিবারের কাছ থেকে যে যতœ ও সেবা পেয়েছি সেটির কোনো তুলনা নেই। সেবার কোনো বিনিময় হয় না। সেটিই আমার প্রাকৃতিক প্রাপ্তি। সেবা যখন বাণিজ্য হয়ে যায়, তখন আর সেখানে মনুষ্যত্ব বলে কিছু থাকে না। আমরা যে ভালোবাসাভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন দেখি, সেখানে ভালোবাসা ও আন্তরিকতার বন্ধন বাড়াতে হবে। এই বিশ্বাস নিয়েই আমরা আমেরিকান। কিন্তু আমরা অন্য আমেরিকানদের মতো হারিয়ে যেতে চাই না। যেই স্রোত আমাদের নয়, সেই স্রোতে আমরা হারিয়ে যেতে চাই না।

আবু জাফর মাহমুদ বলেন, প্রতি মুহূর্তে আমরা যুদ্ধে আছি। এই যুদ্ধ হচ্ছে জীবন গড়ার। এই যুদ্ধ মানবতার। তিনি ব্রংকস এ বাংলাদেশী আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন ইনক্ এর মেলার আয়োজনকে বাংলাদেশি সাংস্কৃতির মেলা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের যা কিছু ভালো, আমাদের যা কিছু নিজস্বতা তা এই মেলার মাধ্যমে আমরা তুলে ধরছি। আমরা এই মেলার মাধ্যমে আমাদের ভালোবাসা, উদারতার মেলবন্ধন গড়ে তুলছি। আমরা আমাদের সম্পর্কের সম্প্রসারণ করছি। এর অংশ হিসেবেই আমরা বাংলা সিডিপ্যাপ ও অ্যালেগ্রা হোম কেয়ারের কাচারিঘর গড়ে তুলছি এই নিউইয়র্কের শহরে শহরে। ব্রংকসে মার্শাল এর শো রুমের পাশে আপনাদের কাচারিঘর গড়ে উঠছে। সেখানে আপনারা যাবেন, নিজেদের মধ্যে সম্প্রীতির অনুশীলন করবেন। এই কাচারিঘর হবে আপনাদের আপন ক্ষেত্র।

বাংলাদেশি আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন ইনক্ আয়োজিত বর্ণাঢ্য মেলায় বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন পণ্য সামগ্রির বহু সংখ্যক স্টল বসে। সকাল থেকে শুরু হওয়া মেলা বিকেল নাগাদ অগণন নারী পুরুষ শিশুর এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।

Facebook Comments Box

Posted ২:৪৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১১ আগস্ট ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com