রবিবার ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিনিয়োগ হারানোর শঙ্কায় আবাসন খাত

অর্থনীতি ডেস্ক   |   সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   92 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

বিনিয়োগ হারানোর শঙ্কায় আবাসন খাত

জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধন কর ব্যাপকহারে বাড়ানোয় আবাসন খাতের জন্য হুমকি বলে মনে করছে বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএলডিএ)। এ আশঙ্কা জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ বিষয়ে সংগঠনটি চিঠি দিয়েছে। বিএলডিএ সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্ৰুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, জমি নিবন্ধনে অতিরিক্ত কর আরোপের কারণে দেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগ কমবে। পাশাপাশি অনেকেই দেশের বাইরে বাড়িঘর করতে আগ্রহী হবেন। ফলে অর্থ পাচারের শঙ্কা বাড়বে।

প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বিএলডিএ বলেছে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত জমি, জমিসহ বাড়ি, যে কোনো স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস হস্তান্তরের ক্ষেত্রে শুধু উৎসে কর হার ছিল দলিলমূল্যের ওপর ৪ শতাংশ। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ৪ শতাংশের পরিবর্তে দলিলমূল্যের ওপর ৮ শতাংশ অথবা বিভিন্ন এলাকার ওপর ভিত্তি করে কাঠাপ্রতি ২০ লাখ, ১২ লাখ, ১০ লাখ, ৮ লাখ , ৬ লাখ ও তিন লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এলাকাভেদে করহার ২৪ গুণের বেশি বাড়ানো হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এত বেশি কর নির্ধারণের কারণে জনগণ জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত হবেন। দেশের বাইরে বিনিয়োগের আগ্রহী হবেন তারা। এসব কারণে বিদেশে অর্থ পাচারেরও শঙ্কা রয়েছে। কর বৃদ্ধির কারণে জমি বেচাকেনা কম হবে। এতে সরকারের রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি দেশের আবাসন খাতে চরম অস্থিরতা দেখা দেবে। উচ্চ করহার অযৌক্তিক, অমানবিক, স্বেচ্ছাচারী এবং বাস্তবায়নের অযোগ্য উল্লেখ করে বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি রেজিস্ট্রেশন কর সহনীয় পর্যায়ে আনার লক্ষ্যে উৎসে কর পুনর্নির্ধারণের অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।

বিএলডিএ জানায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সম্পত্তি নিবন্ধন কর ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে। গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম এলাকায় সিটি করপোরেশনের বাইরের এলাকা ও জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকায় উৎসে কর ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশের যে কোনো পৌরসভার আওতাধীন সম্পত্তি কর ২ থেকে ৪ শতাংশ এবং বাকি এলাকায় ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। বিএলডিএ জানিয়েছে, উৎসে করসহ অন্যান্য কর কমানো না হলে এ খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত ১০ হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে এবং ১ কোটি লোক বেকার হয়ে যাবে।

Facebook Comments Box

Posted ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com