অর্থনীতি ডেস্ক | মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট | 66 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
আমদানি শুরু হলেও লাগামহীন কাঁচামরিচের দাম। এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। এ ছাড়া দাম বেড়েছে শসা-টমেটোর। সরকারের তদারকি সংস্থা বলেছে, আমদানির পরও ব্যবসায়ীরা মরিচের দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়ালে বাজারে অবশ্যই তদারকি জোরদার করা হবে।
গত রোববার রাজধানীর বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। পাড়া-মহল্লায় দর ছিল আরও বেশি।
সোমবার কারওয়ান বাজার, মগবাজার, নাখালপাড়া সমিতির বাজারসহ কয়েকটি এলাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। কোথাও কোথাও ২৫০ গ্রাম মরিচ ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অথচ সপ্তাহখানেক আগে বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে।
দেশের কৃষকরা যাতে ন্যায্য দাম পান সেজন্য গত বছরের ২৪ আগস্ট থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। কিন্তু দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণে আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৪১০ টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৪ টনের মতো এসেছে দেশে।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদে সাধারণত কাঁচামরিচ, টমেটো, শসা ও লেবুর চাহিদা বেড়ে যায়। এজন্য এসবের দাম বাড়তি। তাছাড়া সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়ায় কাঁচামরিচের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারওয়ান বাজারের পাইকারি মরিচ বিক্রেতা রহমান মিয়া বলেন, গত বুধবার প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি করেছি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ২৮০ টাকার ওপরে। মোকামে (উৎপাদন করা এলাকার বাজার) দাম বাড়ার কারণে পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। সেজন্য খুচরা বাজারেও দাম বেশি। ভারত থেকে আমদানি হলেও চাহিদা বাড়ার কারণে ঈদের আগ পর্যন্ত দাম খুব বেশি কমবে না বলে ধারণা করেন তিনি।
গতকাল ১৭ টন কাঁচামরিচ প্রবেশ করেছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। এতে এই এলাকায় দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে।
সপ্তাহ দুয়েক আগেও টমেটো প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে। দুই দিন আগেও টমেটোর কেজি ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। দাম বাড়ার কারণে টমেটো আমদানিরও অনুমতি দিয়েছে সরকার। কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত ৬১ হাজার ৭০০ টন টমেটো আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ টন দেশে এসেছে।
এক সপ্তাহ আগে ঢাকার বাজারে হাইব্রিড ও দেশি শসা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এখন হাইব্রিড শসা ৮০ থেকে ৯০ এবং দেশি শসা ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গাজর ও লেবুর দাম তেমন পরিবর্তন হয়নি। ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে গাজর। মানভেদে লেবু প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা।
আরও বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম
আমদানি বন্ধের অজুহাতে পেঁয়াজের দর শতক ছুঁয়েছিল। এরপর সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ১১ হাজার ৪৬৮ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪০ টন আমদানি হয়েছে। আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর কিছুটা কমে এখন আবারও বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭৬ থেকে ৮০ এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। রসুনেরও ঝাঁজ বেশি। দেশি রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুন ১৮০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আগের মতোই বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে আদা।
জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, বাজারে তদারকি অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে সরকার আমদানির অনুমতি দিয়েছে এবং আমদানি হচ্ছে। এরপরও অস্বাভাবিক দর বাড়লে অবশ্যই তদারকি জোরদার করা হবে।
Posted ১২:৪৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter