
অর্থনীতি ডেস্ক | মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ | প্রিন্ট | 38 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে কিনা তা বিশেষভাবে বিবেচনা করছে সরকার।
এ বিষয়ে একটি কমিটি কাজ করছে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে একথা জানান তিনি।
আসন্ন বাজেটে মহার্ঘভাতা নিয়ে কী থাকছে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মহার্ঘ ভাতা নিয়ে এখন কিছু বলবো না। আমরা কাজ করছি, দেখছি। এটা নিয়ে অ্যাকটিভলি কনসিডার (সক্রিয়ভাবে বিবেচনা) করছি। একটা কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা কাজ করছেন, সেটা করে আমার কাছে দেবেন।
মহার্ঘ ভাতা হচ্ছে কি- এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, হওয়ার চান্স মোটামুটি। হয়তো একটু সময় লাগবে। আমি বাজেটের ওয়ার্ক আউট করে দেখি, কখন থেকে দিতে পারবো, কত দিতে পারবো।
অ্যামাউন্ট কত হতে পারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বলা যাবে না, এটা বললে তো সব বলা হয়ে যাবে।
১০-১৫ শতাংশের একটা কথা শুনা যাচ্ছে বিষয়টা কি এ রকম? এমন প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি বিষয়টা ওয়ার্কআউট করছি। যখন ফাইনাল করবো, এরপর কেবিনেটে যাবে প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন দেবেন, তারপর জানতে পারবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে সরকারি পর্যায়ে কাজ হচ্ছে। ভাতা দিলে আগামী অর্থবছরে বাড়তি কত খরচ হবে, তার হিসাব-নিকাশ হচ্ছে।
গত ডিসেম্বরে ‘মহার্ঘ ভাতা’ সংস্থানের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে সরকার। পর্যালোচনা শেষে কমিটি গ্রেডভিত্তিক ১০ থেকে ২০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার সুপারিশ করে। গত জানুয়ারি থেকেই এ ভাতা কার্যকরের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সংকটকালীন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ উদ্যোগের সমালোচনা করেন অর্থনীতিবিদরা। এমন প্রেক্ষাপটে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া থেকে তখন পিছিয়ে যায় সরকার। এখন নতুন করে আবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Posted ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
nykagoj.com | Stuff Reporter