রবিবার ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএসএফআইসিকে ১শ কোটি টাকা বরাদ্দ

অর্থনীতি ডেস্ক   |   বুধবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   117 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

বিএসএফআইসিকে ১শ কোটি টাকা বরাদ্দ

নিজস্ব অর্থে চাষিদের আখের দাম পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। তাই এ সংস্থার চিনিকলের অনুকূলে চলতি অর্থবছরে চাষিদের আখের দাম পরিশোধ বাবদ ‘পরিচালন ঋণ’ হিসেবে শর্তসাপেক্ষে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো অর্থ বিভাগের এক চিঠিতে বলা হয়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পর বিএসএফআইসির চিনিকলের অনুকূলে আখচাষিদের শুধু আখের দাম পরিশোধ বাবদ ২০২২-২৩ অর্থবছরের অর্থ বিভাগের বাজেটে ‘পরিচালন ঋণ’ খাত থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ১০০ কোটি টাকা শর্তসাপেক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হলো। শর্তের বিষয়ে বলা হয়েছে, এ বরাদ্দকে নজির হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। বরাদ্দ করা অর্থ আখচাষিদের আখের দাম পরিশোধ ছাড়া অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। এ অর্থ বিএসএফআইসির নিরীক্ষিত ভর্তুকি ও ট্রেড গ্যাপের সঙ্গে সমন্বয়যোগ্য হবে। বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি ফার্ম দিয়ে নিরীক্ষা করে তার রিপোর্ট আগামী তিন মাসের মধ্যে অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে। এ পর্যন্ত বিএসএফআইসির অনুকূলে দেওয়া রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টির বিপরীতে নেওয়া ঋণ যথাসময়ে পরিশোধ করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিতভাবে অর্থ বিভাগকে জানাতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, আগামী ২০ বছরে (পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ) ৫ শতাংশ সুদে ষাণ্মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বরাদ্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে চিনিকল পরিচালনা করতে হবে। এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিএসএফআইসিকে একটি ঋণচুক্তি করতে হবে।
কয়েক দশক ধরেই লোকসানে চলছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন। এর মধ্যে শুধু গত পাঁচ বছরেই প্রায় ৪ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে সংস্থাটি। ২০২০-২১ অর্থবছরে লোকসান হয়েছে ৯৭২ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ৯৭০ কোটি টাকা। বর্তমানে সব মিলিয়ে সংস্থাটির ওপর ব্যাংক ঋণের দায় ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
শিল্প মন্ত্রণালয় বলছে, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর বয়স অনেক বেশি। প্রায় পাঁচ থেকে ৯ দশকের পুরোনো এসব চিনিকলের যন্ত্রপাতি এখন পুরোপুরি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। মেরামত, প্রতিস্থাপন ও সংস্কার ছাড়া চিনিকলগুলোকে লাভজনক করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া চিনিকলগুলোর উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখীকরণও অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে।

Facebook Comments Box

Posted ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com