অর্থনীতি ডেস্ক | মঙ্গলবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 81 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
গত নভেম্বর মাসে বেসরকারি খাতে বার্ষিক ঋণ বেড়েছে ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এর আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে যা সামান্য বেশি। দীর্ঘদিন পর গত আগস্ট মাসে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশের ঘর ছাড়ায়, যা ছিল ৪৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর পর আমদানিতে রাশ টানতে বেশ কিছু পণ্যে ঋণ দেওয়া বন্ধ করা হয়।
চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। গত অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে যা ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ছিল। তবে অর্জিত হয় ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরেও একই প্রাক্কলন থাকলেও ঋণ প্রবৃদ্ধি হয় মাত্র ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মূলত চাহিদা কমে যাওয়ায় ঋণ প্রবাহে গতি কমে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে মোট ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৬ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। আগের বছরের একই মাসে যা ছিল ১২ লাখ ৩৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এক বছরে সুদসহ ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা। আগের মাস অক্টোবর শেষে ঋণস্থিতি ছিল ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। সেপ্টেম্বর শেষে প্রবৃদ্ধি হয় ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর বছরের প্রথম মাস জুলাইতে প্রবৃদ্ধি হয় ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
সংশ্নিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির বড় অংশই হচ্ছে জিনিসের দর বৃদ্ধিজনিত কারণে। বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমাতে আমদানিতে রাশ টানতে কিছু পণ্য আমদানিতে ঋণ নিষিদ্ধ না করলে ঋণ প্রবৃদ্ধি এর চেয়ে বেশি হতো।
বৈদেশিক মুদ্রার চলমান সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। সংস্থাটি ঋণ দেওয়ার আগে যেসব শর্ত দিয়েছে, তার একটি প্রতি বছর অন্তত দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে হবে। সে আলোকে চলতি অর্থবছর থেকে আবার ৬ মাসের আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও এক সময় ৬ মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হতো।
বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতিতে যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করে তার মধ্যে বেসরকারি খাতের ঋণ অন্যতম। মুদ্রানীতিতে সরকারি খাতের ঋণের প্রাক্কলনও করা হয়। চলতি অর্থবছরে গত ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাত থেকে সরকার ২৭ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে।
Posted ২:৩৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter