নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | প্রিন্ট | 89 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
অপটিমিস্টস’র ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা ফান্ডরেইজিং ডিনার অনুষ্ঠিত হলো। গত রোববার ১৩ অক্টোবর উডহ্যাভেনের জয়া পার্টি হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মিনহাজ আহমেদ। ২০০০ সালে যাত্রা শুরু করে গত ২৪টি বছর একটানা বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষার প্রদীপ জ্বেলে আশাবাদী করে তুলেছে দ্য অপটিমিস্টস নামের প্রশংসিত সংগঠনটি। বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক ২০টি এলাকায় এ পর্যন্ত ২৫৬ জন স্পন্সর ও ৩০টি কর্পোরেট ডোনার থেকে সংগৃহীত অর্থ প্রদান করা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। যেসব শিক্ষার্থী দ্য অপটিমিস্টস’র অর্থে ও স্পন্সরে শিক্ষার্জনের সুবিধা পেয়েছে তারা আজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত। এদের কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আইটি প্রফেশনাল বা অন্য পেশায়। ‘চলুন স্বপ্নকে সুযোগ দিই’ এই আপ্তবাক্য হৃদয়ে ধারণ করে উডহ্যাভেনের জয়া পার্টি হলে দ্য অপটিমিস্টস’র ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা হয়ে গেল বর্ণাঢ্য আয়োজনে। অনুষ্ঠানে মূল বক্তা ছিলেন স্বনামধন্য ফিলারথ্রপিস্ট জাকি হোসাইন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কম্যুনিটি এডভোকেট এবং ফিলানথ্রপিস্ট রাহাত হোসাইন, নিউইয়র্ক স্টেট এসেম্বলি সদস্য জোহরান মামদানি এবং কুইন্স কম্যুনিটি বোর্ড ৯এর চেয়ারপারসন ইভি হানজপোলস।
দ্য অপটিমিস্টস’র চেয়ারম্যান মিনহাজ আহমেদ বলেন, দারিদ্র কখনোই আমাদের বিকাশে বাধা হতে পারে না। আমাদের এই নিরন্তর কর্ম প্রচেষ্টার কারণে কয়েক হাজার শিশু কিশোরের মনে আমরা আশা জাগিয়ে তুলতে পেরেছি এবং শিক্ষা পৌঁছে দিতে পেরেছি। তিনি জানান, শুধু টিউশন নয়, এর সাথে সংশ্লিষ্ট স্কুল সাপ্লাইজ, বোর্ডিং, খাওয়া দাওয়া, বইপত্তর, এমন কি স্বাস্থ্যসেবা পর্যন্ত প্রদান করা হয়।
জাকি হোসাইন বলেন, খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসা পাওয়া মানুষের অধিকার। তিনি বলেন, ডোনেট করার জন্য বিত্তবান হওয়ার প্রয়োজন নেই। ইচ্ছাটাই আসল। প্রতিটি ধর্মই বলছে ‘হেলপ আদার্স’।
বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ফাতেমা শাহাব রুমা। তিনিও সংক্ষেপে দ্য অপটিমিস্টস’র উদ্দেশ্য ও কর্মধারা তুলে ধরেন।
ইমার্জিং লিডারশিপ পর্ব পরিচালনা করেন ইমতিয়াজ চৌধুরী। তিনি এই পর্বে তরুণ নেতৃবৃন্দকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, অপটিমিস্টস’র অগ্রযাত্রা অপ্রতিহত গতিতে এগিয়ে নিতে চাইলে নতুন প্রজন্মকে জড়িত করার বিকল্প নেই। ইমার্জিং লিডারররা কাজ করবে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে। তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরে আমাদের ৫০ জন ভলান্টিয়ার প্রয়োজন হবে।
এই অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের প্রায় এক ডজন ভলান্টিয়ার দেখা গেছে। সঞ্চালক ফাতেমা শাহাব রুমা নিজেও বোর্ড অব ডিরেক্টর্স এর সদস্য। তিনি দ্য অপটিমিস্টস’র উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।
মোকাররম আহমেদ পেইন্টিং ও স্কাল্পচার অকশন পর্ব তত্ত্বাবধান করেন। অকশন পরিচালনা করেন ফাতেমা রুমা। যেসব শিল্পীর চিত্র ও ভাস্কর্য নিলামে তোলা হয় তারা হলেন ফিরোজ মাহমুদ, কে সি মং, ফারজানা ইয়াসমিন, আখতার আহমেদ রাশা, তারেক জুলফিকার। এইসব শিল্পকর্ম শিল্পীরা দান করেছেন অপটিমিস্টসকে। এর বিক্রি থেকে সংগৃহীত সমুদয় অর্থ অপটিমিস্টস’র ফান্ডে যাবে।
Posted ৮:২৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam