সোমবার ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ব্যাংকক্রাপসির পথে কমিউনিটির দুটি হোম কেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ২২ জুন ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   258 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

ব্যাংকক্রাপসির পথে কমিউনিটির দুটি হোম কেয়ার

 

বাংলাদেশি কমিউনিটির অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের অন্যতম চালিকা শক্তি হোম কেয়ার বিজনেস। হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি এ পেশায় জড়িত হয়ে নিজের ও কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করছেন। এক ধরনের স্বচ্ছলতা এনে দিয়েছে বাংলাদেশি প্রবাসীদের। তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে কমিউনিটির সকল কর্মকান্ডে। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের বিশাল কর্মযজ্ঞের ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে। সামাজিক সংগঠনের তৎপরতায় উৎসব মুখর কমিউনিটি। ৫ বছর আগের ও আজকের কমিউনিটির মধ্যে বিস্তর ফারাক। অতীতে আমেরিকান মুলধারার রাজনীতিবিদদের পেছনে ছুটতেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা।এখন তারাই ছুটছেন বাংলাদেশিদের পেছনে। বাংলাদেশিদের কোন অনুষ্ঠানে আসার জন্য আকুলতায় তাদের শেষ নেই। বক্তব্য ও ভাষনে কমিউনিটির প্রসংশায় খৈ ফোটে তাদের মুখে। গুণতে শুরু করেছেন বাংলাদেশিদের শক্তি। উদীয়মান এই কমিউনিটির সাড়া জাগানো বহিঃপ্রকাশ লং আইল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ছিল দৃশ্যমান। আমেরিকার একটি স্টেডিয়ামে ৩৫ হাজার বাংলাদেশি মানুষের লাল সবুজের পতাকা হাতে উপস্থিতি জানান দিয়েছে তাদের অগ্রযাত্রা। মূলধারার অনেক মিডিয়া তা ফলাও করে প্রচার করেছে।

এই কমিউনিটি বিকাশে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করছে সেবাধর্মী হোম কেয়ার বিজনেস। কিন্তু এই পেশাটিকে বির্তকিত করতে মাঠে নেমেছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। প্রতি মাসেই আইনশৃংখলার সদস্যরা তাদের অফিসগুলোতে হানা দিচ্ছেন। হেলথ ডিপার্টমেন্টের লোকজন লিখছেন অনিয়মের নানা ভায়োলেশন। ট্যাক্স প্রতারনায় সিদ্ধহস্ত তারা।অসত্য তথ্য দিয়ে মেডিকেইড বেনিফিট পাওয়ায় তারা সহযোগী। বিনিময়ে নিজের হোম কেয়ারের অন্তর্ভুক্তি। ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস) এর নজরে আছেন অনেকে। বেগতিক দেখে নিজের নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফার করছেন ছেলে, বউ কিংবা ঘনিষ্ঠ অন্য কারও নামে। এতেও রেহাই হচ্ছে না। দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন হোম কেয়ার ব্যবসাটি বিক্রির জন্য। কিন্তু তাদের অতীত রের্কডের খতিয়ান দেখে কেউ এগিয়ে আসছেন না। একটি বড় হোম কেয়ার ও এডাল্ট কেয়ার প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ব্যবসা বিক্রিতে মরিয়া । দাম হাঁকছেন ১২ মিলিয়ন ডলার। সাড়া মেলেনি আশানুরুপ। হাঁটছেন তিনি বিকল্প পথে। টার্গেট ব্যাংকক্রাপসি। তবে এর আগে বাড়াচ্ছেন বয়স্ক রোগীর সংখ্যা ও তাদের এইড। সাধারনতঃ যাদের সবোর্চ্চ বেতন হবার কথা ঘন্টায় ২১.০৯ ডলার। অফার করা হচ্ছে ২৪ বা ২৫ ডলার করে। হোম কেয়ার এইডদের এই হারে বেতন দিয়ে কেউ প্রোফিট করতে পারবেন না। গড়ে প্রতিজনের পেছনে ঘন্টায় লোকসান হবে ২ থেকে ৩ ডলার। সেদিকে তোয়াক্কা না করে বাগিয়ে নিচ্ছেন রোগী ও এইড। সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে অসুস্থ প্রতিযোগীতায়। কর্মি সংখ্যা বাড়িয়ে— বেতন আটকিয়ে অভিনব কায়দায় ব্যাংকক্রাপসির’র পথে হাঁটছেন দু—একজন। এমনিতেই হোম কেয়ার এইডদের বেতন ২ সপ্তাহ পেন্ডিং বা জমা রাখেন কেউ কেউ। আরও ২ থেকে ৪ সপ্তাহের বেতন ঝুলিয়ে দেবার পরিকল্পনায় রয়েছেন। এতে ১০ বা ১২ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণার মহা পরিকল্পনায় হাঁটছেন অসাধু এই চক্র।

জ্যাকসন হাইটসের একজন হোম কেয়ার ব্যবসায়ী অন্যের ঘারের উপর বন্দুক রেখে ছড়ি ঘুড়াচ্ছেন। অন্যের ব্যবসার ম্যানেজার হয়ে বনে গেছেন বনেদী ব্যবসায়ী। দাবী করছেন মালিকানার। আইআরএস ফ্রড এই ব্যবসায়ী নিজের নামে কিছু না রেখে আত্মীয়দের নামে একাউন্ট পরিচালনা করছেন। অন্যের ব্যবসা দখল করার অভিযোগে আদালতে মামলাও ঝুলছে। এতে ব্যবসায়িক অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তিনি। যেকোন মুর্হুতে তার হাতছাড়া হতে ‘স্বপ্ন পুরনের’ হোম কেয়ার। এমতাবস্থায় তিনি পা বাড়াচ্ছেন হোম কেয়ার বিক্রির পথে। তবে তার দাবিকৃত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় সুবিধে করে উঠতে পারছেন না। ক্রেতারা অতীত রেকর্ডকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় তিনিও পা এগুচ্ছেন ব্যাংকক্রাপসির পথে।

এতে বিপদে পড়তে পারেন প্রায় ৫ হাজার হেলথ এইড ও বাংলাদেশি বয়স্ক মুরুব্বীরা। তাদের আগ থেকেই উচিৎ হবে সটকে পড়া। নির্ভরযোগ্য ও সুনামের সাথে যারা কাজ করছেন তাদের হোম কেয়ারের যোগদানই হবে শ্রেয়।

Facebook Comments Box

Posted ১:৩৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com