শনিবার ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোশাক খাতে বেতন সহজ করেছে বিকাশ

অর্থনীতি ডেস্ক   |   বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   93 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

পোশাক খাতে বেতন সহজ করেছে বিকাশ

‘প্রতি মাসে বেতন দেওয়ার সময় এলেই ঘুম উড়ে যেত। ব্যাংক থেকে ক্যাশ টাকা তুলতে যেতে হতো মতিঝিলে। দুপুরের আগে টাকা তুলে আনতে পারলে ওই দিনে কর্মীরা বেতন পেতেন, নইলে পরদিন। তখন বেতনের সব টাকা রাখতে হতো বাসায়। ওই রাতে সবাই ঘুমালেও আমার ঘুম হারাম। এখন বেতন দেওয়ার সময় আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি। আমাকে নিশ্চিন্ত করেছে বিকাশের পে-রোল সলিউশন।’ বিকাশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মুহূর্তেই ঝামেলা ছাড়াই হাজারো শ্রমিকের বেতন দেওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে এ কথা বলেন জামালউদ্দিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন মিয়া। তাঁর মতো পোশাকশিল্পের ১ হাজার ১০০-এর বেশি প্রতিষ্ঠান সহজে, নিরাপদে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যে বেতন দিতে বিকাশের পে-রোল সলিউশন ব্যবহার করছে।

২০১৫ সালে ডিজিটাল পে-রোল সলিউশন চালু করে বিকাশ। এ সলিউশন ব্যবহারের মাধ্যমে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কর্মী ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বিতরণের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুল হক খান বলেন, ‘বিকাশের পে-রোল সলিউশন ব্যবহারের আগে কারখানায় বেতন দেওয়ার দিন অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার দরকার হতো। পুলিশি পাহারায় টাকা পরিবহনে লাগত অতিরিক্ত জনবল এবং মাইক্রোবাস। এখন এ ধরনের বিশেষ ব্যবস্থায় অর্থ খরচের প্রয়োজন নেই।

’ শুধু মালিকপক্ষ নয়, কর্মী ও শ্রমিকরা অনেক ধরনের ঝুঁকি ও ঝামেলা থেকে নিস্তার পেয়েছেন। তৈরি পোশাকশিল্পের ৪৪ লাখ কর্মীর মধ্যে ৬০ শতাংশই নারী। তাদের ক্ষমতায়ন বিষয়ে ইনামুল হক খান বলেন, ‘বিকাশে বেতন পাওয়ার ফলে নারীরা নিজের কষ্টার্জিত অর্থের ওপর আগের চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। আগে হয়তো পুরো বেতন একসঙ্গে ক্যাশ পেয়ে বড় একটি অংশ স্বামী, ভাই বা বাবার হাতে তুলে দিতে হতো। এখন যতটুকু দরকার, ততটুকু অর্থই তারা খরচ করছেন। বাকিটা অ্যাকাউন্টেই রয়ে যাচ্ছে, যা দিয়ে সঞ্চয়ও করতে পারছেন।’ বেটার দ্যান ক্যাশ অ্যালাইয়েন্সের ‘ডিজিটাইজিং ওয়েজেস পেমেন্টস ইন বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রোডাকশন সেক্টর’ শীর্ষক জরিপ অনুযায়ী প্রথাগত পদ্ধতিতে একজন কর্মীর মাসিক বেতন দেওয়ার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের ১৮ মিনিট সময় প্রয়োজন হয়, যা প্রতি মাসে ২ হাজার ৫০০ জন কর্মীর একটি কারখানার ৭৫০ কর্মঘণ্টা নষ্ট করে। হ্যামস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সফিকুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকরা যেহেতু লম্বা সময় লাইনে দাঁড়িয়ে বেতন নিতেন, তাই দেখা যেত বেতনের দিন উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে।

উৎপাদন ঠিক রাখার জন্য করণীয় নিয়ে যখন ভাবছিলাম, ঠিক তখনই বিকাশ আমাদের জন্য পারফেক্ট সলিউশন নিয়ে আসে।’ মোয়াজুদ্দিন গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর আবদুল্লাহ আল নোমান বিকাশের শক্তিশালী প্রযুক্তির বিষয়ে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সময় লকডাউনে যখন কাউকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না, সে সময় আমরা তিন মাস বিকাশের ডিজিটাল পে-রোল সলিউশন ব্যবহার করি। বিকাশের প্রযুক্তি এত শক্তিশালী যে, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমাদের সব কর্মী বেতন পেয়ে যেতেন। আপাতত আমাদের ১০ হাজার কর্মীর এ সুবিধার আওতায় নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে সব কর্মীকে এ সুবিধার আওতায় নিতে পারব।’ শাহানা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমান অপু বলেন, ‘করোনা মহামারি থেকেও এখনকার যুদ্ধ আমাদের বেশি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফেলেছে। অনেক ধরনের ভর্তুকি দিয়ে আমাদের টিকে থাকতে হচ্ছে। এমন সময় বিকাশের মতো সার্ভিসের মাধ্যমে কর্মীদের বেতন-ভাতা বিতরণ করতে পারব ভেবে আমি একটু স্বস্তিবোধ করছি।’ কর্মীরা এখন বিকাশে পাওয়া বেতন ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ব্যবহার করে তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করার সুযোগ পাচ্ছেন।

বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই নিতে পারছেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ন্যানো লোন, সেভিংস, বীমাসহ আরও বহু আর্থিক সেবা। এসব সেবা দেওয়ার আগে অবশ্যই গ্রাহকদের অর্থের নিরাপত্তা প্রদান জরুরি। এ বিষয়ে বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, ‘বিকাশের জন্ম হয়েছে একটি মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে। আর তা হলো জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই যেন সহজেই টাকা লেনদেন করতে পারেন। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য আমরা চেষ্টা করেছি শক্তিশালী প্রযুক্তি ব্যবহার করার, যাতে টাকা জমা দেওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই গ্রাহকরা টাকা পেয়ে যান। পাশাপাশি একটি টেকসই আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরি করার মাধ্যমে গ্রাহকদের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি।’ শুধু ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতনই নয়, এ খাতের কর্মীদের জন্য একটি টেকসই আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ। এর অংশ হিসেবে বেশ কিছু কারখানার ভেতরেই ন্যায্যমূল্যের দোকান ‘সুলভ বাজার’ ও ‘আপন বাজার’ স্থাপন করা হয়েছে। শ্রমিকদের আরও সচেতন করতে কারখানা প্রাঙ্গণে এমএফএসের নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে আসছে বিকাশ।

Facebook Comments Box

Posted ১:০১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com