সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৌনে ২ লাখ ডলার আত্মসাতে ২ বাংলাদেশি

বাংলাদেশ সোসাইটিকে নিয়ে আবারো ষড়যন্ত্র!

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   228 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

বাংলাদেশ সোসাইটিকে নিয়ে আবারো ষড়যন্ত্র!

 

‘বাংলাদেশ সোসাইটি নিয়ে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মামলার পর মামলা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই সংগঠনের অর্থ হাতিয়ে নেবার চেষ্টায় একটি চক্র। সংগঠনের জন্য ডিজাস্টার বলতে পারেন। এমন ঘটনা বাংলাদেশ সোসাইটির ইতিহাসে ঘটে নাই। তবে নেতৃবৃন্দের দ্রুত হস্তক্ষেপে অর্থগুলো ফেরত এসেছে।’ আজকালের প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে সোসাইটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও গত নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী এ কথাগুলো বলছিলেন। তিনি বলেন, এই অপকর্মের সাথে বাংলাদেশি ২ জন বলে জানা গেছে। তারা নিঁখুতভাবে কাজ করেছে। এতে বুঝা যায় তারা সোসাইটির সব খবর জানে। সোসাইটির চেক ডুপ্লিকেটই তার প্রমান। কত ডলার একাউন্টে রয়েছে তা অবগত। এতে মনে হতেই পারে ভেতরের কেউ অপরাধীদের জানাশোনা। সোসাইটির একজন কর্মকর্তা আজকালকে বলেন, প্রেসিডেন্টকে বির্তকিত করতেই একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আব্দুর রব মিয়ার নামে একাউন্ট খুলে সোসাইটির ২০ হাজার ডলার সে একাউন্টে ট্রান্সফার করা একটি ষড়যন্ত্রেরই অংশ। কমিউনিটির কাছে তাকে হেয় করার জন্যই এটা করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়ার দৃষ্টি আর্কষন করলে তিনি বলেন, কোষাধ্যক্ষসহ কর্মকর্তাদের তড়িৎ হস্তক্ষেপে সংগঠনের অর্থ ফেরত এসেছে। আমার নামে একাউন্ট খুলে সংগঠনের ২০ হাজার ডলার সেখানে ট্রান্সফারের ঘটনা প্রমান করে একটি চক্র সোসাইটির বিরুদ্ধে কাজ করছে।আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করাই তাদের ্উদ্দেশ্য বলে মনে হয়। আমার ও সংগঠনের ইমেজ নষ্ট করতে তারা তৎপর হয়েছে। আমরা আইনানুগভাবে সকল অন্যায় মোকাবেলা করবো। প্রতারকরা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশ সোসাইটির টিডি ব্যাংকের একাউন্ট থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার ডলার হাতিয়ে নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে একটি চক্র। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে বাংলাদেশ সোসাইটির সকল ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এ ঘটনা অনুসন্ধান করছে। সোসাইটির অর্থ আত্মসাতের প্রচেষ্টায়টায় সংগঠনের পক্ষে পুলিশ রিপোর্ট করেছেন কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেন। ঘটনার সাথে জড়িত মামুন আবু ও রফিক উল্লাহ নামের ২ জন বাংলাদেশির নাম এসেছে। এফবিআই ইতোমধ্যে একজন বাংলাদেশিকে সনাক্ত করলেও তার বিস্তারিত জানা যায় নি। শুধু একজন বাংলাদেশি, নাকি এর পেছনে কোনো চক্র কাজ করেছে তার তদন্ত চলছে। প্রথম ৫ হাজার ডলারের চেক জালিয়াতির পর তাৎক্ষণিক ব্যাংকে অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরো দুটি চেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ডলার ক্লিয়ারেন্স পায় । সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেন আজকালকে বলেন, ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যে তৎপর হওয়ায় লোপাট করা অর্থ পুরোপুরি ফেরত পাওয়া গেছে।
নওশেদ বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে টিডি ব্যাংক ডিটমার্স বুলেভার্ড শাখা থেকে একটি ফোন আসে । একজন নারী কর্মকর্তা জানান, জনৈক মামুন আবু ৫ হাজার ডলারের একটি চেক জমা দিয়েছেন। চেক নম্বর ২৯০৩। চেক ইস্যুর তারিখ লেখা ১৯ সেপ্টেম্বর। চেকের মেমোতে উল্লেখ করা হয়েছে ৭৩ স্ট্রিটে স্টেজ প্রোগ্রামের। নারী কর্মকর্তার কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি চেকটি পরিশোধ না করার অনুরোধ জানান। এমনকী বাহককে পুলিশে দেওয়ার অনুরোধ জানান। ব্যাংক আর চেকের অর্থ পরিশোধ করে নি। প্রতারক তালবাহানা করে গাড়িতে বসার কথা বলে বেরিয়ে যায়।

২০ সেপ্টেম্বর শনিবার বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া ও নওশেদ ব্যাংকে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে হিসাবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। এরপর সতর্কতার সাথে ব্যাংকের হিসাবে নজর রাখছিলেন কর্মকর্তারা। কিন্তু একইদিন বিকেলে নওশেদ দেখতে পান ব্যাংক হিসাব থেকে ১৪ হাজার ডলার তুলে নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের একাউন্টে জনৈক রফিক উল্লাহ নামে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারের একটি চেক জমা করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক ১৪ হাজার ডলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাকী অর্থ হয়তো পরে দেয়া হতো। নওশেদ আজকালকে বলেন, , আমি তাৎক্ষণিক টিডি ব্যাংকের কল সেন্টারে ফোন করে এ ব্যাপারে আপত্তি জানাই। সাথে সাথে ১৪ হাজার ডলার একাউন্টে ১৪ হাজার ডলার ফেরত আসে। । এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ২২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ১০ মিনিটে একই অ্যাকাউন্টে সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রব মিয়ার নামে ২০ হাজার ডলার অয়্যার ট্রান্সফার করা হয়। প্রতারক সভাপতি আব্দুর রব মিয়ার নামে নিজে একাউন্ট খুলে এ অর্থ ট্রান্সফার করে।

টিডি ব্যাংক সোসাইটির কর্মকর্তাদের জানায়, সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রব মিয়ার নামে টিডি ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টে সভাপতি নিজে অয়্যার ট্রান্সফার করে ২০ হাজার ডলার নিয়েছেন। অথচ সভাপতি আব্দুর রব মিয়া জানিয়েছেন, টিডি ব্যাংকে তার কোনো অ্যাকাউন্টই নেই। আপত্তির পর ২০ হাজার ডলারও ফেরত এসেছে। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে সভাপতির সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বর কম্প্রোমাইজড হয়েছে। এমনকী তার ফোন নম্বরও ক্লোন হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- কেউ তার নামে অ্যাকাউন্ট করে এই অপকর্মটি করছিল।এ দিকে সোসাইটির নামের ২ুটি ব্যাংক একাউন্ট ক্লোজড করা হয়েছে। নতুন একাউন্ট খুলে সংগঠনের কাজকর্ম চালানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী বলেছেন, সোসাইটির ব্যাংক হিসাব জালিয়াতির ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। তিনি বলেন, সোসাইটর সকল অর্থ সবার আমানত। সংশ্লিষ্ঠ সবার সহযোগিতায় অর্থ ফেরত এসেছে।। তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক সনাক্ত হবে।

 

 

 

Facebook Comments Box

Posted ৯:৫১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com