গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কের লাগার্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলে শাহ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ জে. চৌধুরী উইকলি দ্য জেনারেশন’ পত্রিকার প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করেন।
‘উইকলি দ্য জেনারেশন’ -এর সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাদিয়া জে. চৌধুরীকে। নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন শাহ্ জে. চৌধুরী, মুবিন খান ও সালমান জে. চৌধুরী। সম্পাদকমন্ডলী বোর্ডে আছেন হুসনেয়ারা চৌধুরী, ফৌজিয়া জে. চৌধুরী ও শান্তা ইসলাম দেবরাজ এ. নাথ। নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শাহ্ গ্রুপ পত্রিকাটির প্রকাশের দায়িত্ব পালন করেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনেটর জন লু, সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক শাহ্নেওয়াজ ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রানো নেওয়াজ,সাপ্তাহিক পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক নাজমুল আহসান, উইকলি দ্য নিউ জেনারেশন-এর উপদেষ্টা একেএম ফজলুল হক, মইনুল ইসলাম, মইনু জামান চৌধুরী, আনন্দধ্বনি ইনকের প্রতিষ্ঠাতা অর্ঘ্য সারথী শিকদার, নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়রের এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান, সানফ্লাওয়ার ব্রোকারিজের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার জাহিদ, ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট বেলাল চৌধুরী, ইমিগ্রান্ট এলডার হোম কেয়ারের চেয়ারম্যান ও সিইও গিয়াস আহমেদ, ডিজিটাল সিকিউরিটি সিস্টেম অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং ইনকের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান লিটু, খামার বাড়ির প্রেসিডেন্ট হারুন ভুঁইয়া, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মো. আলম নমি, শো-টাইম মিউজিকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মো. ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার প্রমুখ।
পত্রিকাটির সম্পাদক সাদিয়া জে. চৌধুরী বলেন, আজ আমাদের জন্যে নতুন একটি সম্ভাবনা উন্মুক্ত হলো। তিনি সবাইকে ‘উইকলি দ্য জেনারেশন’-এ আমন্ত্রণ জানান।
সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক শাহ নেওাজ নিউইয়র্কে ইংরেজি ভাষায় ‘উইকলি দ্যা জেনারেশন’ প্রকাশের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমাদের কমিউনিটিতে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের জন্য এই পত্রিকাটি তাদের মেধা ও মননকে আরও সমৃদ্ধ করবে। তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে আরও বেশী করে জানতে পারবে। উইকলি দ্যা জেনারেশন নতুন প্রজন্মের পত্রিকা হবে।
শাহ্ জে. চৌধুরী বলেন, সংবাদপত্রটি আমাদের নতুন প্রজন্মই চালাবে, আমরা থাকব তাদের পেছনে। একসময় তারাই এই পত্রিকার মূল দায়িত্বে আসবে। তাছাড়া আমেরিকার মেইনস্ট্রিমের মানুষেরাও এখন বাংলাদেশকে নতুন করে জানবে। আরও একটি কথা, ‘উইকলি দ্য জেনারেশন’ শুধুমাত্র বাংলাদেশী কমিউনিটির নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বসবাস করা সকল বিদেশী কমিউনিটির, বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটির পত্রিকা।
সম্পাদকমন্ডলী বোর্ডের সদস্য ফৌজিয়া জে. চৌধুরী দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি আমাদের কমিউনিটির একটি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি পরিবেশন করবে তথ্য এবং আমাদের জন্যে নতুন একটি পরিবেশ গড়ে তুলবে। আজ শুধু নতুন একটি সংবাদপত্রের জন্ম হয়েছে, তা কিন্তু নয়; একই সঙ্গে নতুন এক ঐক্যেরও জন্ম হলো।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন আলভিন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ ভাবে সম্মাননা জানানো হয়।
উদ্বোধনী দিনে পত্রিকাটির বর্ধিত কলেবরে ৯৬ পৃষ্ঠার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ও নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বাণী ও শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন।