নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 212 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের প্রানকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটস। প্রতিদিন হাজারো বাংলাদেশির পদচারনায় মুখরিত এ এলাকা। আর রেষ্টুরেন্ট মানে ভোজনবিলাসীদের অতি প্রিয় একটি নাম হাটবাজার। এর সাথে রয়েছে গোসারীর দোকান। চা আর হালিম মানেই চলো যাই হাটবাজারে। আর বিরিয়ানীতে সর্বসেরা। এমনই একটি জনপ্রিয় রেষ্টুরেন্টে সংকটের কথা শুনলে অনেকেই আতঁকে উঠেছেন। বলেছেন,তাই নাকি। পার্টনার ব্যবসার এই এক ঝামেলা। করুণ দশা।
হাটবাজার রেষ্টুরেন্ট ও গ্রোসারী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মালিকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। কিন্তু গত ২ বছর তা প্রকট আকার ধারন করে। এক অপরের সাথে মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়। একজন দোকানে থাকলে আরেকজন আসতেন না। রেষ্টুরেন্টের ল্যান্ডলর্ডের সাথেও ঝামেলার সৃষ্টি হয়। প্যানডেমিক থেকে হাটবাজার কর্তৃপক্ষ দোকানের ভাড়া প্রদান বন্ধ রাখে। ভবনের মালিক বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নেন। এক পর্যায়ে রেষ্টুরেন্টের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। রান্না খাবার আসে উডসাইডস্থ গুলশান ট্যারেসের কিচেন থেকে। এমতাবস্থায় রেষ্টুরেন্টটি বিক্রির গুঞ্জনও ওঠে। কিন্তু মিলিয়ন ডলারের এই রেষ্টুরেন্ট ক্রয়ে আগ্রহীরা ভেতরের খবর জেনে পিছিয়ে যায়।
হাটবাজার রেষ্টুরেন্ট ও গ্রোসারীর পার্টনাররা হলেন মনসুর চৌধুরী, মহসিন ননী,কেশব দাস বিদ্যুৎ ও শওকত বাদল। তারা দীর্ঘদিনের বন্ধু। দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে তারা সুনামের সাথে ব্যবসা করছিলেন। তাদের কঠোর পরিশ্রমেই এই হাটবাজার প্রবাসে জনপ্রিয় রেষ্টুরেন্টে পরিনত হয়। ভোজন বিলাসীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও বসার জন্য আসন পান না। এমনই একটি জনপ্রিয় রেষ্টুরেন্ট বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল মালিকদের দ্বন্ধের কারনেই। বছরের অধিক ঘরের ভাড়া না দেওয়ায় ভবনের মালিক লিজ রিনিউ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ল্যান্ডলর্ড একজন পার্টনারের নাম উল্লেখ করে বলেন, তার সাথে লিজ সাইনের কোন সুযোগ নেই। লিজ সাক্ষর ছাড়াই চলতে থাকে হাটবাজার রেষ্টুরেন্ট। উল্লেখ্য হাটবাজারের লিজ গত ২০ বছর ধরে ননির নামেই ছিল। তা এক্সপায়ার্ড হবার পর তা রিনিউ হয়নি। লিজ ছাড়া একদিকে রেষ্টুরেন্টের ভ্যালু শূন্যতায় সংকটে পড়েন মালিকেরা। বিশাল এক ক্ষতির মুখোমখি হন তারা। অবশেষে তারা নিজেদের ইগো ও অহমবোধ ত্যাগ করে এক টেবিলে আলোচনায় বসেন। গত মাসে উডসাইডে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সমঝোতায় পৌঁছতে বাধ্য হন আর্থিক বিবেচনায়। ল্যান্ডলর্ড ও পার্টনারদের সমঝোতায় মনসুর চৌধুরী ও বিদ্যুতের নামে লিজ স্বাক্ষর হয়। তবে ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে হাটবাজারের মালিকানায় ননি ও বাদল এখনও সংযুক্ত আছেন।
এ ব্যাপারে মনসুর চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে নিউইয়র্ক কাগজকে বলেন, লিজ স্বাক্ষর হয়ে গেছে। তবে ননির নামে নয়। আমার ও বিদ্যুতের নামে হয়েছে লিজ স্বাক্ষর। তবে ননি ও বাদলসহ আমরা ব্যবসায়িক পার্টনার। আমাদের মধ্যে কোন সমস্যা নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে জ্বনাব মনসুর বলেন, এখনও গ্যাস লাইনের সংযোগ লাগেনি। দু-এক মাসের মধ্যে হাটবাজারের রিনোভেশনের কাজ শুরু করবো। তখন সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরা হাটবাজারের সুনাম ও ঐতিহ্য রক্ষায় বদ্ধ পরিকর।
Posted ৪:২২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam