শনিবার ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৫ দিনের অন্ধকারে বাংলাদেশ! সিঙ্গাপুর সুইডেনের কি হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   215 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

১৫ দিনের অন্ধকারে বাংলাদেশ! সিঙ্গাপুর সুইডেনের কি হবে?

অন্ধকারের দিকে এগুচ্ছে বাংলাদেশ! ২০ জুন পর্যন্ত বিদ্যুতের অভাবে কার্যত এ অবস্থা বিরাজ করবে। কয়লা ও গ্যাসের সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ভেস্তে গেছে। কয়লা আমদনীর যে পরিমান অর্থ টাকশালে থাকা দরকার তাও নেই। টাকা যোগার করে তা আনতে আরও লাগবে ১৫ দিন। এ সময়ের কথা বলেছেন স্বয়ং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিদ্যুতের চরম সংকট শুরু হবে ৫ জুন থেকে। ইতোমধ্যেউ গার্মেন্টস শিল্পের উৎপাদন শতকরা ৫৫ ভাগ বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংকটটের কারনে। লাখ লাখ গার্মেন্স শ্রমিক কাজ না থাকায় পথে বসেছেন। জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ। কয়লা সংকট নিরসনে সরকার ও বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু ভারতকেও পাশে পাওয়া যায় নি। মালয়েশিয়া এগিয়ে এলেও কয়লা কেনার টাকা নেই। ৫ জুনের পর পায়রাবন্ধ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে হয়ে যাবে। আর সে অবস্থায় এক অন্ধকার পরিস্থিতির মুখোমখি হবে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ আসাটাই এখন বাংলাদেশের মানুষের বড় সুখবরে পরিনত হচ্ছে। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ফেসবুকে লিখেছেন, আমরাতো সিঙ্গাপুর সুইডেনের সাথে প্রতিযোগিতায়! তাদের কি হবে?
এতগুলো বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের পর ও লোডশেডিং । তার উপর রয়েছে কুইক রেন্টাল, যাদের ক্যাপাসিটি চার্জ অজুহাতে কোটি কোটি টাকা পেমেন্ট দেওয়া হচ্ছে । রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের পর ও জ্বালানির অভাবে লোডশেডিং চলতেই থাকবে । লোডশেডিং ই যদি চলবে তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করার কি দরকার ছিল ? নাকি উন্নয়ন এর জোয়ারের তালিকা লম্বা করার জন্য অকেজো বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে । স্কুলগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংকটের কারনে।

লোডশেডিং পরিস্থিতি ঠিক হতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ গ্রাহকেরা দেখছেন যে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। জ্বালানি হিসেবে গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেলের জোগান দিতে কষ্ট হচ্ছিল। এ কারণে লোডশেডিং ধীরে ধীরে বেড়ে গেছে। লোডশেডিং পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে গেছে।
দেশের চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে শনিবার এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কত দ্রুত কয়লা নিয়ে আসা যায়, তার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অর্ধেক সক্ষমতায় চলছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও অর্ধেক সক্ষমতায় চলছে। জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও অর্ধেক সক্ষমতায় চলছে।
তবে গত বছরের জুলাইয়ের মতো সূচি করে পরিকল্পিত লোডশেডিংয়ের চিন্তা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, তাপপ্রবাহ চলছে, তাই বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়ে গেছে। আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনের জন্য তৈরি আছে। দুই মাস আগে থেকেই চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু জ্বালানি আসার পেছনের বিষয় সব সময় তাদের হাতে থাকে না। অর্থনৈতিক বিষয়, জ্বালানি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার বিষয় থাকে; সব সমন্বয় করতে হয়। সমন্বয় কোথাও বাধাগ্রস্থ হলেই সমস্যা হয়। এবারও তাই হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্ট কাজ না করাতে লোডশেডিং বেড়েছে। কিছুদিন এ পরিস্থিতি থাকবে। কয়লার অভাবে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র (পায়রা) অর্ধেক বন্ধ আছে, আগামী ৫ তারিখের পর বাকি অর্ধেকও বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে সিস্টেমে একটি বড় অংশ বিদ্যুৎ না পাওয়ায় কিছুটা জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটের ওপরে লোডশেডিং চলছে।

Facebook Comments Box

Posted ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com