শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাল থেকে অসহযোগ আন্দোলন

জাতীয় ডেস্ক   |   শনিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   48 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

কাল থেকে অসহযোগ আন্দোলন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও আগামীকাল রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। ‘সারাদেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদে ও ৯ দফা দাবিতে’ এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার।

তিনি সারাদেশের জনসাধারণকে অলিতে-গলিতে, পাড়ায় পাড়ায় সংগঠিত হয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘খুলনা, সিলেট, ঢাকায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি করেছে পুলিশ। বারবার আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। এই খুন, রক্তের চড়া মূল্য আদায় করা হবে।’

আন্দোলনের সহসমন্বয়ক রশিদুল ইসলাম রিফাত ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এই সরকারের সঙ্গে আলোচনার সকল দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। এই সরকার হত্যার বিচার না করে আবারও আমার ভাইদের ওপর গুলি চালিয়েছে। শনিবারের মধ্যে আমাদের ৯ দফা দাবি মেনে নেওয়া না হলে রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন চলবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে আর কেউ কোনোভাবেই সহযোগিতা করবেন না। প্রবাসী ভাইদের বলছি, একটি টাকাও ব্যাংকে পাঠাবেন না। গার্মেন্টস শ্রমিকরা আর কেউ গার্মেন্টসে যাবেন না। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে রোববার থেকে কলকারখানা সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হলো।’

এদিকে আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ ফেসবুক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘সকালে তিনি আমাদেরকে পরিবারসহ দাওয়াত দেন গণভবনে। আমরা বলেছি, তাঁর হাতে আমাদের ভাইদের তাজা রক্ত লেগে আছে, আগে রক্তাক্ত হাত পরিষ্কার করুন। তার পর আমরা ভেবে দেখব। বিকাল হতেই রাজপথে আবারও আমার ভাইদের হত্যা করেছে, আর ক্ষমা নেই।’

গত ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে এসে কোটা সংস্কারের দাবি জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, আবু বাকের মজুমদারসহ শিক্ষার্থীরা। পরদিন তারা বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী ২ জুলাই কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ অবরোধ করেন।
এর পর সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। তবে সরকার তাদের দাবি কার্যত প্রত্যাখ্যান করে। এর পর তারা বাংলা ব্লকেড ও কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির ডাক দেন।
এ সময় পুলিশের গুলি আর সরকারদলীয় সশস্ত্র কর্মীদের হামলায় শিক্ষার্থী, নানা পেশার মানুষসহ দুই শতাধিক নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এর মধ্যে সারাদেশে শিক্ষার্থীসহ ৯ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। তা সত্ত্বেও আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত ছিল।

Facebook Comments Box

Posted ৪:০৬ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com