বাংলাদেশ নদীমাত্রিক দেশ।ষষ্ঠ শতাব্দি থেকে আরব বণিকেরা এই নদী পথ ব্যবহার করেছে বাণিজ্যের জন্য ।পরে পালাক্রমে এসেছে পর্তূগীজ,ইংরেজ বণিকেরা এবং আর ও অনেকে।সেই সময় পানি পথই ছিল রাজপথ ।নদীমাত্রিক এদেশের মানুষের মনমানসিকতা আর জীবন-যাপন দারুনভাবে নদী প্রভাবিত ।সুদূর প্রবাসেও নদীর প্রতি ভালবাসার কমতি নেই।তাইতো প্রতি বছর নিউইর্য়কে সামারের কুরুজ ভ্রমণ একটি উল্লেখযোগ্য স্হান দখল করে আছে । গত ২৬ মে ২০২৪ আমাদের সবার প্রিয় শো টাইমস মিউজিকের আলমগীর খান আলম ভাইয়ের আমন্ত্রণে এই সামারের প্রথম ক্রুজের বৈশাখীর ডিনারে যোগ দিয়েছিলাম।প্রতিবছরেই কমবেশি যাওয়া হয়,কিন্তু ২৬ মে ছিল প্রথম ক্রুজ ভ্রমণ ।তাই আনন্দটাই ও ছিল একটু বেশি ।আলমগীর খান আলম নিউইর্য়কের বাসিন্দাদের আনন্দ দেয়ার জন্য সদা প্রস্তুত।কখনো পিঠা উৎসব ,কখনো বৈশাখী মেলা ,আবার কখনো বা তারকাদের মিলন মেলা ।এই ভ্রমণে সবকিছুরই একটু একটু স্বাদ পাওয়া গেছে।বাংলাদেশে নদীতে ভ্রমণের সময় নদীর পাড়ে রাখালী বালকের বাঁশীর সুর শোনা যায়,গ্রাম্য বধূর কলস কাখে অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়,ছোট ছোট বাচ্চাদের খালি গায়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়ার দৃশ্য দেখা যায়।প্রবাসে ক্রুজ ভ্রমণে এসবের অভাব থাকলেও রাখালী বাঁশীর সুর না হলেও রিজিয়া পারভীন,বিন্দু কণা,আমাদের প্রিয় ভাবীজান(রন ভাবী),অনিকের গান শুনতে শুনতে এবং ম্যানহাটনের পাড়ের অপূর্ব সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পানিতে ভাসতে ভাসতে যাওয়াও কম আনন্দের নয়।আর যদি সাথে থাকে এককালের জনপ্রিয় টিভি তারকা এবং তার জীবন সঙ্গীনি তা হলে ভ্রমণটি আর একটু রসালো হয়ে উঠে।তাই নয় কি?
মেঘনা নদীর মেয়ে আমি,
মেঘনা পাড়ে বাড়ি ।
ইচ্ছে হলে এপার থেকে
ওপাড়ে দেই পাড়ি।
কবি আহসান হাবীবের মত সেই দিন আমি ও হয়েছিলাম মেঘনা নদীর মেয়ে ।কিন্তু এপার থেকে ওপাড়ে পাড়ি দিতে পারেনি ।ভেসে ভেসে ঘুড়েছি,নদীর রকমারি রূপ দেখেছি । শো টাইমস মিউজিকের আলমগীর খান আলম যেভাবে আমাদেরকে আনন্দ দেয়ার জন্য নানা প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন আমরা তার কাছে ঋণী।এই ঋণ শোধ করতে পারি সবপ্রকার সহযোগীতা করে যাতে আনন্দের প্রসার যেন আরও দীর্ঘায়িত এবং আরও সুন্দর হয়ে উঠুক এ কামনা রইলো সবার কাছে ।