সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গনতন্ত্র ও মানবাধিকার জোড়দারে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদ

বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ল্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   44 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ল্যু

 

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ও মানবাধিকারকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আবারও দৃঢ়তার সাথে অবস্থান পুর্নব্যক্ত করলো। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারই বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। গত ২৫ মার্চ সোমবার বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা বলেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগন ২৬ মার্চ তাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। চলমান অনেক ইস্যুতেই আমরা বাংলাদেশের গর্বিত অংশীদার। এরমধ্যে রয়েছে পরিবেশ পরিবর্ত মোকাবেলা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন,রোহিঙ্গা রিফিউজি সংকট, পিসকিপিং অপারেশন ও সারা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য সংকট মোকাবেলা অন্যতম। আমাদের এই অংশীদারিত্ব ইন্দো-ফ্যাসিফিক অঞ্চলে অবাধ, উন্মুক্ত, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের এই বিশেষ দিনে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করছে দু’দেশ ‘পিপল টু পিপল’ বন্ধনকে জোড়দার করতে আগামীতে এগিয়ে যাবে।
এদিকে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড ল্যু আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে ৪ মিনিটের বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কোন কথা বলেন নি।৪ মিনিটের বক্তব্যের সাড়ে ৩ মিনিটই খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি বংশোদভূত শিক্ষাবিদ সাল খানের ভূয়সী প্রসংশা করেন। তিনি বলেন, তাকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করে। সারা বিশ্বের মিলিয়ন মিলিয়ন শিক্ষার্থী তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।ফ্রি শিক্ষা দিচ্ছেন অনলাইনে। আইটি প্রশিক্ষনে সাড়া ফেলেছেন। এমআইটি থেকে ডিগ্রী নিয়ে সাল ৪০টি ভাষায় বিশ্বব্যাপী মানুষের সেবা দিয়ে আসছেন। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তাকে নিয়ে বাংলাদেশিদের গর্ববোধ করা উচিত। রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের আমন্ত্রনে ডোনাল্ড ল্যু অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানও এতে যোগ দেন।

বাংলাদেশের রাজনীতি, অবাধ ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন নিয়ে এই ল্যু ছিলেন সোচ্চার। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলতেন। একাধিকবার বাংলাদেশ সফরও করেছেন। কিন্তু নির্বাচনের পর তাকে নিশ্চুপ দেখা গেছে। কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনকে অভিনন্দিত করে নি।রাজনীতিক বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ নীরবতার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন। তাদের মতে, সরকারের ভেতর যে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে তা টের পাওয়া যায় আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্যগুলো থেকে।

Facebook Comments Box

Posted ৭:৫৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com