নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 96 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
আগামী ১ দশকে নিউইয়র্কের জনসংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসার আশংকা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২ বছরে ৭ লাখ নিউইয়র্কার বিভিন্ন কারনে নিউইয়র্ক স্টেট ত্যাগ করেছেন। যার বড় একটি অংশ ছেলেমেয়েদের উন্নত শিক্ষার পরিবেশের চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করোনার পর ২০২২ ও ২০২৩ সালে অধিক সংখ্যক মানুষ সিটি ত্যাগ করেছেন। এককভাবে করোনার আঘাতে নিউইয়র্ক সিটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। যার পরিমান ছিল প্রায় ২৩ হাজার। আর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখের উপরে। যা যুক্তরাষ্ট্রের যেকোন শহরের চেয়ে সর্বোচ্চ। করোনার আক্রমনে নিউইয়র্কার মধ্যে এক ধরনের প্যানিক তৈরি হয়েছিল। এ কারনে করোনার পরপরই হাজার হাজার মানুষ নিউইয়র্ক ত্যাগ করে। বর্তমানে সাধারন মানুষ করোনার চেয়েও ভযাবহ বিবেচনায় নিচ্ছে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ও বসবাসের অনুপযুক্ত পরিবেশ। এমনকি দিন বা রাত নেই নেবাহুডগুলোতে অস্ত্রের মহড়া চলছে না। প্রতিদিনই ছোটবড় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি, সাবএয় ট্রেনের ভেতর রক্তের হোলি খেলা চলছে। ঝড়ছে সাধারন মানুষের রক্ত। পর্যটকদের প্রিয় শহর ম্যানহাটন অনিয়ন্ত্রিত মাইগ্রান্টস ও হোমলেসের কারনে নোংরা ও র্দূগন্ধময় শহরে পরিণত হচ্ছে। সর্বশেষ পরিসংখান অনুসারে সিটিতে ২০১৯ সালের আগের তুলনায় অর্ধেক পর্যটকও আসছেন না।
নন প্রোফিট থিংক ট্যাংকস প্যানডেমিকের পর প্রথম এই ধরনের একটি আশংকা প্রকাশ করেছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত জরিপে দেখানো হয়েছে ৬ বছর আগের তুলনায় ক্রাইম বেড়েছে শতকরা ৫০ ভাগের বেশি। শতকরা ৫৮ ভাগ মানুষ জরিপে অংশ নিয়ে বলেছেন, ২০২৮ সালের পর তারা নিউইয়র্কে থাকবেন কিনা ভেবে দেখবেন। সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠছে অবসরে যাওয়া নিউইয়র্কারদের মধ্যে। একসময় তাদের কাছে নিউইয়র্ক সিটি ছিল স্বর্গের মতো। হাত বাড়ালেই তারা সবকিছু পেতেন। বাসা থেকে বেরুলেই বাস, ট্রেন ও ট্যাক্সি। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে গ্রোসারী স্টোর। এ কারনে বয়স্ক আমেরিকানদের কাছে নিউইয়র্ক সিটিই ছিল পছন্দের।এখন তাদের চিন্তার পরিবর্তন ঘটছে। রাস্তায় বেরুলেই তারা ছিনতাই এর মুখোমুখি হচ্ছেন। তাদেরকে সহায়তার পরিবর্তে স্বর্বস্ব লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। পেনশনে যাবার আগ থেকেই নিউইয়র্কারদের বড় একটি অংশ ফ্লোরিডা, টেক্সসাস কিংবা আরিজোনার দিকে মুভ করার পরিকল্পনা করছেন। ট্যাক্স, আইনশৃংখলা ও পরিবেশের কথা চিন্তা করে তারা নতুন নিবাসের চিন্তা করেন।
সিবিএন প্রকাশিত জরিপে অংশ নেয়া ৬,৬০০ জন অংশগ্রহনকারির অর্ধেকই মনে করেন সিটি এখন কারও জন্যই নিরাপদ নয়। সেটি হোক ট্রেন বা বাস কিংবা প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তা। সিটি মেয়র এরিক এডামস মঙ্গলবারই জরিপ প্রশ্নে বলেছেন, ৮.৩ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর ৩৫ মিলিয়ন মতামত থাকতে পারে। আমার ২ বছর ৩ মাসের প্রশাসন সিটির মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে নানামুখি পরিকল্পনা গ্রহন করছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ সিটিতে আসছেন সে হিসেবটি কেউ রাখেছেন না। বিগ আপেল আগামীতে আরও এগিয়ে যাবে।
Posted ৩:২৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam