নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 102 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের গনতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে একটি শব্দও লেখেন নি। শুধুই উন্নয়নে সহযোগিতার কথা বলেছেন। রোববার রাতে মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ চিঠির বিষয়বস্তু উল্লেখ করে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য ও জাতিসংঘ গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের দাবি নির্বাচন অংশগ্রহনমূলক, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয়নি। এমন সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন একটি চিঠি সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন। অথচ প্রধানমন্ত্রীর দফতর,বাকপটু পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান মাহমুদ কিংবা তুখোড় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তা নিয়ে মিডিয়ার সামনে আসলেন না। বিষয়টি একেবারেই বেমানান মনে হয়েছে অনেকের কাছে । আর তা প্রচার করা হয়েছে পররাষ্ট্র দফতরে কর্মরত উপসচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা দিয়ে। তাও আবার প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে।
বাইডেনের এমন একটি চিঠি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় বইছে। সমালোচকরা বলছেন, ভারতে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন ইস্যু হয়তো ভূলে গেছে। ৭ জানুয়ারির সুষ্ঠ ও অবাধ(!) নির্বাচনের ম্যাচমেকার ও সার্টিফিকেট দাতা ভারতের মনোভাব বুঝেই সর্তকভাবে চিঠি লিখেছেন বাইডেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিটি মার্কিন দূতাবাসের কাছ থেকে পেয়েছে বলে দাবি করেছে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রোববার সকালে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে এই চিঠি হস্তান্তর করেছেন। তবে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ চিঠির ব্যাপারে মিডিয়ায় বা তাদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় উল্লেখ করেনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি লিখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার রাতে মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ চিঠির বিষয়বস্তু উল্লেখ করে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। বিজ্ঞপ্তি মতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার চিঠিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্যকে সমর্থন করতে এবং একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য উভয়ের যে ভিশন তা বাস্তবায়নে অংশীদারিত্ব জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাইডেন লিখেন- যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরুর এই সময়ে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি এবং বৈশ্বিক বিষয়ে কাজ চালিয়ে যেতে আমার প্রশাসনের আন্তরিক ইচ্ছা প্রকাশ করতে চাই। স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ এবং সফল ইতিহাস রয়েছে জানিয়ে বাইডেন বলেন, আমাদের জনগণের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন দু’দেশের এই সম্পর্কের ভিত্তি। রোববার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠিটি পৌঁছে দিয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
Posted ৮:২৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam