
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 11 বার পঠিত
হামাসের বিরুদ্ধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি এক সৈন্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও দুই বিদেশিকে জিম্মি করে রাখার অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। চয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের মাঝে ইসরায়েল রোববার এই অভিযোগ করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার বৃহত্তম হাসপাতালে জিম্মি এক ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা এবং দুই বিদেশিকে জিম্মি করে রেখেছে হামাস। যুদ্ধে উদ্বাস্তু হয়ে পড়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আল-শিফায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সৈন্যরা এই হাসপাতালে হামাসের গোপন আস্তানা রয়েছে জানিয়ে সেখানে সামরিক অভিযান শুরু করে। এরপর হাসপাতাল থেকে শত শত মুমূর্ষু রোগী ও আহত লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
গত ৭ অক্টোবর সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গাজার ক্ষমতাসীন সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। ওই দিন স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইসরায়েলে ঢুকে শত শত ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৪২ জনের বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে হামাস।
এই হামলার পর গাজায় তীব্র আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। গাজা উপত্যকা থেকে হামাসকে নির্মূল করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
গত সপ্তাহে আল-শিফা হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্য নোয়া মার্সিয়ানোর মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। হামাস বলেছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৯ বছর বয়সী ওই নারী সৈন্য নিহত হয়েছেন। হামাসের প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, তার মাথায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা গেছে তিনি বিমান হামলায় আহত হয়েছিলেন। তবে তার শরীরে আঘাত মৃত্যু ঘটানোর মতো ছিল না।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী নোয়াকে হামাসের সদস্যরা শিফা হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে হামাসের এক সদস্য তাকে হত্যা করেছে। তবে এই বিষয়ে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।
টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে হ্যাগারি বলেছেন, হামাসের বন্দুকধারীরা ৭ অক্টোবরের অভিযানে আটক করা বিদেশিদের মধ্যে দুজনকে আল-শিফায় নিয়ে যায়। ওই দুই জিম্মির একজন নেপালি এবং অন্যজন থাই। হামাসের হাতে জিম্মি থাই ও নেপালি দুই নাগরিকের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে হ্যাগারি বলেন, এতে দেখা গেছে একদল ব্যক্তি একজন ধাক্কা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় মেডিক্যালের কর্মীদের অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন। দ্বিতীয় একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালের ভেতরে আহত এক ব্যক্তি পড়ে আছেন। তার পাশে বেসামরিক এক ব্যক্তিকে অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে দেখা যায়।
হ্যাগারির এসব দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হামাসের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠী বলেছিল, তারা কিছু জিম্মিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
Posted ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter