ডেস্ক রিপোর্ট | মঙ্গলবার, ০৮ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 391 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
সম্প্রতি সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর এডওয়ার্ড টেড কেনেডির পুত্র এবং দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা এডওয়ার্ড টেড কেনেডি জুনিয়র। সাথে ছিলেন স্ত্রী ড. ক্যাথরিন কিকি কেনেডি, মেয়ে ড. কাইলি কেনেডি, ছেলে টেডি কেনেডি, ভাতিজি গ্রেস কেনেডি অ্যালেন ও ভাতিজা ম্যাক্স অ্যালেন। সফরকালে তারা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেন। এছাড়াও, তারা ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক নিদর্শন পরিদর্শনের পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমর্থনপুষ্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম অ্যালামনাই ও বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। নিজ দেশে ফেরার পর ঢাকা সফরের স্মৃতিচারণ করে (বাংলাদেশ সময় সোমবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নিজের অফিসিয়াল একাউন্ট থেকে কেনেডি জুনিয়র দুটি পোস্ট করেছেন যার একটিতে তিনি বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে নিজ পরিবারের ছবি শেয়ার করে তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে লিখেছেনঃ
“বাংলাদেশ ভ্রমণের সময়, আমার পরিবার এবং আমি অনুপ্রেরণাদায়ীর সাথে দেখা করে সম্মানিত বোধ করছি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষুদ্রঋণের জনক, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষক, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস-এর শক্তিশালী অংশীদারই কেবল নন, লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করার জন্য ২০০৬ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারও পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, রবার্ট এফ কেনেডি ছিলেন নিউইয়র্কের সাবেক সিনেটর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি এবং সাবেক সিনেটর এডওয়ার্ড টেড কেনেডির ভাই। ১৯৬৮ সালে ৬ই জুন তার হত্যাকান্ডের সময় তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী ছিলেন। লস এঞ্জেলেসের অ্যাম্বাসেডর হোটেলে, ক্যালিফোর্নিয়ার প্রাইমারি নির্বাচনের বিজয়ী ভাষণ দেবার দেওয়ার পর পরই তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তাকে হত্যার কয়েক মাস পর সে বছরই তার নামানুসারে (যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক) বিশ্বখ্যাত মানবাধিকার সংগঠন ‘রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
Posted ৪:৫৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ নভেম্বর ২০২২
nykagoj.com | Monwarul Islam