ডেস্ক রিপোর্ট | মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 262 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর শুরুতেই খেরসন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় রাশিয়া। সম্প্রতি ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের শঙ্কায় অঞ্চলটি থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেছে ক্রেমলিন। এতে বেজায় চটেছেন দেশটির যুদ্ধবাজ নাগরিকরা। সেনা প্রত্যাহারকে অপমানজনক বলে রুশ সেনাদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁরা দেশটির প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিন এবং রুশ সরকারেরও সমালোচনা করেছেন।
দেশটির ডানপন্থি নেতা আলেকজান্ডার ডুগিন বলেছেন, একজন স্বৈরশাসকের প্রধান কাজ হলো জনগণকে রক্ষা করা এবং ভূখণ্ডগুলো নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা। তাই কোনো অবস্থাতেই রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ আত্মসমর্পণ করতে পারে না। ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষ তার চরম সীমায় পৌঁছে গেছে। এ ঘটনায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করার প্রস্তাব দেয় রুশ পার্লামেন্ট ডুমার সদস্যরা। তবে ক্ষমতাসীন পুতিনের দল সেই প্রস্তাব আটকে দেয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সমালোচনার প্রবাহ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইউক্রেন যুদ্ধে বারবার পিছিয়ে আসায় পুতিন নিজেকে সমালোচনা থেকে দূরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন। বিষয়টি পুতিনের জন্য অবশ্যই খারাপ বলে বর্ণনা করেছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশ্নেষক ম্যাক্সিম ট্রুডালিউবভ। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্য একটি পোস্টে বলা হয়েছে, মুক্ত হওয়ার পর খেরসনের বাসিন্দাদের অভিব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরের গণভোটের ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এদিকে মুক্ত খেরসন অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল সোমবার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সেনাদের সঙ্গে শহরটির বিভিন্ন এলাকায় যান তিনি। সেখানে ইউক্রেনীয় সেনাদের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা গোটা দেশের শান্তির জন্য প্রস্তুত। এ সময় ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ায় ন্যাটো ও এর মিত্রদেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান তিনি। অন্যদিকে জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে পৌঁছানোর পর গতকাল রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে এপি। তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এপির এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটিকে প্রতারণামূলক বলে আখ্যায়িত করেছেন। আজ মঙ্গলবার জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি।
ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানির ব্যাপারে জাতিসংঘের সঙ্গে ‘গঠনমূলক’ আলোচনার কথা জানিয়েছে রাশিয়া। গতকাল ক্রেমলিন জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরের শস্য রপ্তানি চুক্তি পুনরায় নবায়নের ব্যাপারে কাজ চলছে এবং গত সপ্তাহে এ ব্যাপারে জাতিসংঘের সঙ্গে হওয়া আলোচনা ‘মোটামুটিভাবে গঠনমূলক’ ছিল। আসন্ন শীতে ইউক্রেনে সংঘাতের পরিস্থিতি বদলে যাবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ দাবি করেছেন, আসন্ন শীতে ইউক্রেনকে ঠান্ডা ও অন্ধকারে রাখার পরিকল্পনা করেছে রুশ সরকার।
Posted ২:০০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
nykagoj.com | Stuff Reporter