সোমবার ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ট্রাম্পই নিজেই হবেন নির্বাচনী ট্রাম্পকার্ড!

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   157 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

ট্রাম্পই নিজেই হবেন নির্বাচনী ট্রাম্পকার্ড!

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের ওপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।  মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, সেগুলো নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথ উল্টে দিতে পারে। রক্তাক্ত অবস্থায়  নিজেই  বলছেন, ফাইট, ফাইট। তাঁর ছেলে এরিক ট্রাম্প বাবার রক্তাক্ত ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এই যোদ্ধাকেই আমেরিকার প্রয়োজন।’ পেনসিলভানিয়ার ঘটনায় সারা বিশ্ব দেখেছে অদম্য ও `অসম্ভব!’ এক ট্রাম্পকে। তার প্রতিকৃতি দেখে রিপাবলীকানরা ভীষন ঊজ্জীবিত। আাবার ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে কোন পথে যাবে দেশটিি তা নিয়ে চিন্তিত অনেকেই।

রাজনৈতিক সহিসংতার দুঃখজনক এ ঘটনা অনিবার্যভাবে নির্বাচনী প্রচারে একটি প্রভাব ফেলবে। যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলেই সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিবিসির মার্কিন সহযোগী সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলেছেন, তাঁরা এ হামলাকে একটি হত্যাচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।

নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ঘেরাওয়ের মধ্যে রক্তাক্ত ট্রাম্পের মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তোলার ছবি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন তাঁর ছেলে এরিক ট্রাম্প। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘এই যোদ্ধাকেই আমেরিকার প্রয়োজন।’

গুলির এ ঘটনার পরপরই টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংতার কোনো স্থান নেই। রিপাবলিকান প্রতিপক্ষের জন্য উদ্বেগ জানান তিনি। পরে বাইডেন টেলিফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

ট্রাম্পের ওপর হামলার পর বাইডেনের প্রচারশিবির সব রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচার স্থগিত করেছে। যত দ্রুত সম্ভব সব টেলিভিশন বিজ্ঞাপন বন্ধ করারও উদ্যোগ নিয়েছে। তারা খুব স্পষ্টভাবে এটা উপলব্ধি করতে পেরেছে, এ সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ করে কোনো কিছু প্রচার করাটা সঠিক হবে না। তার চেয়ে বরং তারা এ সময়ে ঘটনার নিন্দা জানানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনের সবাই এ হামলার নিন্দা জানাচ্ছেন। তাঁরা একযোগে বলছেন, গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো জায়গা নেই।

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবা, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বিল ক্লিনটন ও জিমি কার্টার—সবাই দ্রুতই সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়েছেন। ট্রাম্প গুরুতর জখম না হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তাঁরা।

তবে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কিছু মিত্র ও সমর্থকেরা এরই মধ্যে এ ঘটনার জন্য বাইডেনকে দোষারোপ করছেন। রিপাবলিকান দলের একজন কংগ্রেসম্যান এরই মধ্যে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে এ ‘হত্যাচেষ্টা উসকে’ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় সিনেটর জেডি ভেনস রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। তিনি বলেন, বাইডেন শিবির থেকে যেসব রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে, সেগুলোই এ ঘটনার জন্য দায়ী।

অন্য রিপাবলিকান রাজনীতিবিদেরাও একই ধরনের কথা বলছেন। প্রতিপক্ষ শিবির থেকে আসা এসব বক্তব্যের অবশ্যই নিন্দা জানানো হবে। বলা হবে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি কঠিন সময়ে উসকানিমূলক এসব বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ঘটা গভীর দুঃখের একটি ঘটনা নিয়ে এরই মধ্যে যে লড়াইয়ের সূচনা হয়েছে, তা আগামীতে আরও কুৎসিত রূপ নেবে বলেই ধারণা করা যায়। আর এটাই এ নির্বাচনের প্রচারের ধরন বদলে দেবে।

এদিকে  যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনী সমাবেশে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলাকারী টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস রিপাবলিকান পার্টির নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন। এ তথ্য বেরিয়ে আসার পর পরিস্থিতি বিশ্লেষন পাল্টে যাচ্ছে।

শনিবার ১৩ জুলাই সন্ধ্যায়  পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তখন নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছিলেন ট্রাম্প। পাশের একটি ভবনের ছাদ থেকে গুলি করেন ক্রুকস।

গুলি করার পরপরই ট্রাম্প মঞ্চে বসে পড়েন। তাঁর ডান কান দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ট্রাম্পকে ঘিরে ধরেন এবং দ্রুত গাড়িতে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় ট্রাম্পকে।

Facebook Comments Box

Posted ৯:২৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com