নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 80 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
অভিবাসী সংকটে নিউইয়র্ক ও শিকাগো সিটি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের দুর্বল নীতি ও অব্যবস্থাপনায় সীমান্ত দিয়ে জন¯্রােতের ন্যায় অগনিত ইমিগ্রান্ট প্রবেশ করছে। তার সাড়ে ৩ বছর শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে ৭ লাখ মাইগ্র্যান্ট। দেশের দক্ষিন সীমান্ত সংলগ্ন স্টেট টেক্সাস ও আরিজোনা তাদেরকে বাসে পাঠিয়ে দিচ্ছে নিউইয়র্ক, শিকাগো, ডেনভার ও বস্টনের মতো শহরগুলোতে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিসার ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছে এই বড় শহরগুলো। ইমিগ্রান্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্থিক সংকটে বিশেষ করে নিউইয়র্ক ও শিকাগো শহরকে দেওলিয়া (ব্যাংকক্র্যাপসি) ঘোষণা করা হতে পারে। ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক থিংক ট্যাংক ‘দ্যা হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের’ সিনিয়র রিসার্স ফেলো সায়মন হানকিনসন এমন আশংকা প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য গত আড়াই বছরে প্রায় ২ লাখ নতুন মাইগ্র্যান্ট প্রবেশ করেছে নিউইয়র্ক সিটিতে। সিটির প্রায় অর্ধেক হোটেল ভাড়া করে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রন করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। আশ্রয়স্থল থেকে তারা বেরিয়ে চুরি, ডাকাতি, পাবলিক নুইসেন্স কার্যকলাপ এমনকি পুলিশের উপর হামলা করছে। জর্জিয়ায় নার্সিং স্টুডেন্ট খুন হয়েছেন একজন অবৈধ অভিবাসীর হাতে। সেখানকার প্রশাসন পরো স্টেট থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বের কওে দেবার উদ্যোগ নিয়েছে। নিউইয়র্ক সিটিতে উশৃংখল অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রনে রাখতে অস্থায়ী বাসস্থানগুলোতে মেয়র কার্ফু জারি করেছেন। সন্ধ্যার পর তাদের বাইরে বেরুতে বারন। সিটি প্রশাসন অতিরিক্ত ২ লাখ লোকের মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। মেয়র এরিক এডামস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে বেগিং করেও প্রয়োজনীয় অনুদান পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে সিটির বেশ কিছু এজেন্সীতে হায়ারিং ফ্রিজ করেছে। ডিপার্টমেন্টগুলোর বাজেট কর্তন করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাস কোম্পানীগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেও নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক এডামস দেশের দক্ষিণ অঞ্চল থেকে বাসে ইমিগ্রান্ট আসা বন্ধ করতে পারছে না। তাদের আবাসন ও খাদ্যের ব্যবস্থা করার মতো সংগতি নিউইয়র্ক ও শিকাগোর নেই। প্রয়োজন পর্যাপ্ত ফেডারেল সাহায্য। সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেস এর সিনিয়র ডাইরেক্টর দেবু গান্ধী বলেছেন, গেল আর্থিক বছরে ফেডারেল সরকার ৮০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছিল। তা ফেমা নতুন মাইগ্র্যান্টদের জন্য ব্যয় করে। এতে নিউইয়র্ক সিটি পায় ১৪৫ মিলিয়ন ডলার। যা ছিল ম্ইাগ্রান্ট সমস্যা মোকাবেলায় সিটির মোট খরচের মাত্র শতকরা ১০ ভাগ।
মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো মুজাফ্ফর চিশতি বলেছেন, যারা সীমান্ত ক্রস করে আসছেন, তাদেও কাছে নতুন দেশ ও নতুন শহর। তাদের খাবার দরকার, দরকার থাকার যায়গা। ইমিগ্রেশন ইস্যুটি খুবই জটিল। এটি সমাধান করতে হবে স্টেট,সিটি ও ফেডারেলের সম্বলিত প্রয়াসে। সিটি একা করতে পারবে না। নিউইয়র্ক সিটি ফেডারেলের সহায়তা না পেলে উেলিয়া হয়ে যাবে।
Posted ৩:০১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam