শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোপা জিতল হিমশৈলের উপর ঘুমন্ত এক মেরু ভল্লুকের ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক   |   রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   39 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

শিরোপা জিতল হিমশৈলের উপর ঘুমন্ত এক মেরু ভল্লুকের ছবি

ব্রিটিশ ফটোগ্রাফার নিমা সারিখানি তার ক্যামেরায় বন্দি করেছেন ভেসে চলা হিমশৈলের উপর ঘুমন্ত এক মেরু ভল্লুকের অত্যাশ্চর্য সুন্দর দৃশ্য। আর তার সেই ছবি জিতে নিয়েছে ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’। তবে নিমা সারিখানি কিন্তু পেশাদার আলোকচিত্রগ্রাহক নন।

ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের পরিচালক ড. ডগলাস গুর বলেন, “সারিখানির তোলা এই মর্মস্পর্শী এবং শ্বাসরুদ্ধ করা অপরূপ চিত্র একইসঙ্গে আমাদের এই গ্রহের সৌন্দর্য এবং ভঙ্গুরতাকে প্রকাশ করে।”

“তার এই ছবি আমাদের চিন্তাকে গভীর ভাবে নাড়া দেয়। ভাবতে বাধ্য করে, উষ্ণায়ন আর বাসস্থানের ক্ষতি কীভাবে একটি প্রাণীর সঙ্গে তার প্রাকৃতিক আবাসস্থলের মধ্যে অবিচ্ছেদ্য বন্ধনের উপর প্রভাব ফেলেছে।”

নরওয়ের স্যালবার্ড দ্বীপপুঞ্জে ঘন কুয়াশার মধ্যে মেরু ভল্লুকের তিন দিন ধরে খোঁজ চালানোর পর সারিখানি ছবিটি তুলেছেন।

বিশ্বজুড়ে বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফির অনুরাগী এবং প্রকৃতিপ্রেমীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ২৫টি নির্বাচিত তালিকা থেকে তাদের পছন্দের চিত্রকে ভোট দেওয়ার জন্য।

সাহি ফিঙ্কেলস্টেইনর ‘দ্য হ্যাপি টার্টল’
সাহি ফিঙ্কেলস্টেইন তীরের পাখির ছবি তোলার জন্য আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন। সে সময় লক্ষ্য করেন একটি বলকান পুকুরের কচ্ছপ অগভীর জলের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। অপ্রত্যাশিতভাবে কচ্ছপের নাকের উপর এসে পড়ে একটি ড্রাগনফ্লাই। সেই ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।

ড্যানিয়েল ডেনসেস্কুর ‘স্টারলিং মার্মারেশন’
ড্যানিয়েল ডেনসেস্কু ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে এক ঝাঁক স্টারলিংয়ের (এক বিশেষ প্রজাতির পাখি) পিছু করছিলেন। তাদের ধাওয়া করে ইতালির রোমের শহর আর শহরতলি ঘুরে বেড়ান তিনি।

শেষ অব্দি, একটি বিশালাকৃতি পাখির আকার নেয় ওই এক ঝাঁক স্টারলিং, যা মুহূর্তে ক্যামেরাবন্দি করেন ওই চিত্রগ্রাহক।


মার্ক বয়েডের ‘শেয়ার্ড প্যারেন্টিং’

আফ্রিকার কেনিয়ার মাসাই মারায় একটি ঘন ঝোপের মধ্যে পাঁচ শাবককে রেখে রাতে শিকারে বেরিয়েছিল দুই সিংহী। সেখান থেকে খালি হাতে ফেরার পর শাবকদের তৃণভূমিতে ডেকে নিয়ে যত্ন করতে থাকে থাকে দুই মা।


ওউডুন রিকার্ডসেনের ‘অরোরা জেলিস’

ওউডুন রিকার্ডসেনের তার সরঞ্জামগুলিকে রাখতে নিজেই একটি জলরোধী আস্তানা তৈরি করেছিলেন। ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করেছিলেন সিঙ্গেল এক্সপোজারের সময় ফোকাস এবং অ্যাপারচার সামঞ্জস্য করার জন্য তিনি তার নিজস্ব সিস্টেম।

উত্তর নরওয়ের ট্রমসোর বাইরে একটি খাঁড়িতে শরতের শীতল জলে ঝাঁক বেঁধেছিল মুন জে্লিফিস। আর তাদের আলোকিত করে তুলেছিল অরোরা বোরিয়ালিস। সেই ছবি তুলে ধরেছেন ওউডুন রিকার্ডসেন।

এই সেরা পাঁচটি ছবি অনলাইনে এবং লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে।

Facebook Comments Box

Posted ১১:০২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com